1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকার ইরান নীতি নিয়ে জার্মানিতে বৈঠক

২৪ নভেম্বর ২০২০

বাইডেন এলে কি অ্যামেরিকার ইরান নীতি বদলাবে? জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে সে আলোচনা হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3ljov
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ছবি: Jens Meyer/AP Photo/picture alliance

পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন করে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু হলো জার্মানিতে। সোমবার জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বার্লিনে বৈঠকে করেন ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেখানে ইরান নিয়ে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করেন তাঁরা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাসের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অ্যামেরিকায় জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে ইরান নিয়ে মার্কিন নীতি বদল হবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। ফলে বাইডেনের আমলে নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে বলেই ইউরোপের বিশ্বাস।

২০১৫ সালে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপের একাধিক দেশ, অ্যামেরিকা এবং ইরানের পরমাণু চুক্তি সই হয়েছিল। সেখানে ইরানকে বলা হয়েছিল, পরমাণু পরীক্ষা করা গেলেও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম লাগে, তাও এক সঙ্গে ইরান মজুত করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছিল। অভিযোগ, ইরান বার বার সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। গোপনে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরীক্ষা চালাচ্ছে বলেও বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮ সালে অ্যামেরিকা চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় এবং ইরানের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। করোনা কালে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন জানালেও ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তা মানতে রাজি হয়নি। বরং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো তীব্র করা হয়। কিছু দিন আগেই মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প।

এই পরিস্থিতিতে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সে বিষয়ে আলোচনা করছে। সোমবার সে বিষয়েই আলোচনায় বসেছিলেন তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে নতুন করে ইরানের উপর চাপ দেওয়ার প্রস্তাব নেওয়া হয়। ইরান যাতে পরমাণু চুক্তি মান্য করে, তা নিয়ে তাদের উপর চাপ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য, অ্যামেরিকা ইরান নীতি পরিবর্তন করলে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের আশা, বাইডেন ক্ষমতায় এলে অ্যামেরিকার বর্তমান ইরান নীতির পরিবর্তন হবে।

বস্তুত, ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নিজের বিরোধিতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন বাইডেন। নির্বাচনী প্রচারেও বিষয়গুলি এসেছে। ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত মার্কিন কংগ্রেসও করোনাকালে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার কথা বলেছিল। ফলে, বাইডেন ক্ষমতায় এসে সে কাজটি করবেন বলেই  মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ, এএফপি)