1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস আছে কি নেই?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ মে ২০১৬

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধান পিয়ের মায়াউদঁ বলেন, বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতি নিয়ে অর্থহীন বিতর্ক সময়ের অপচয় মাত্র৷ বাংলাদেশের নিরপত্তা বিশ্লেষকরাও মনে করেন, বিতর্ক না করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাই আসল কাজ৷

https://p.dw.com/p/1IlW7
আইএস-এর যোদ্ধারা
ছবি: Reuters

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধান পিয়ের মায়াউদঁ বলেছেন, বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতি নিয়ে অর্থহীন বিতর্ক সময়ের অপচয় মাত্র৷ বাংলাদেশের নিরপত্তা বিশ্লেষকরাও মনে করেন, বিতর্ক না করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনাই আসল কাজ৷

পিয়ের মায়াউদঁ সোমবার ইউরোপ দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘আইএস আছে কি নেই – এই বিতর্ক কোনো ভালো উদ্দেশ্য বহন করে না৷ এর একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে সহিংসতার ঢেউ তৈরি করা৷''

একের পর এক ঘটে চলা হত্যাকাণ্ডগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এই ইস্যুতে বিতর্ক করা ভুল হবে৷ এ সব হত্যাকাণ্ড আন্ডারগ্রাউন্ড গ্রুপগুলোর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড৷'' তাঁর কথায়, ‘‘এরা গোপনে বাংলাদেশে অবস্থান করছে৷ এরা কোনো প্রকাশ্য প্রতিষ্ঠান নয়৷ কোথাও রেজিস্টার্ডও নয় এরা৷ এদের বহু চেহারা আছে, আছে বহু নাম৷ এরা নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদের পরিচয় পরিবর্তন করতে পারে৷''

শাহেদুল আনাম খান

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সেক্যুলার ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, প্রকাশক, শিক্ষক, ভিন্ন মতাবলম্বী, বিদেশি এবং সমকামী অধিকারকর্মীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে৷ বহু হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে উগ্রপন্থি সংগঠন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ তবে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আইএস-এর উপস্থিতির খবর নাকচ করে দেওয়া হয়েছে, এখনও হচ্ছে৷

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘‘আমাদের দু'টি ভুল এড়িয়ে চলা উচিত৷ একটি হচ্ছে এই ইস্যুকে অতিরঞ্জিত করা এবং অন্যটি হচ্ছে এই পরিস্থিতিকে খাটো করে দেখা৷ কিন্তু আরো একটা ভুল হবে যদি দেশে আইএস আছে কি নেই – তা নিয়ে আলোচনায় অনেক সময় ও শক্তি ব্যয় করা হয়৷''

তিনি জানান, ‘‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসের নতুন মানচিত্র সম্পর্কে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে ইইউ৷''

ইইউ রাষ্ট্রদূত আরো জানান যে, ইউরোপও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করছে এবং একই ধরনের সমস্যা বন্ধু রাষ্ট্রদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করতে চায় তারা৷''

বাংলাদেশের বৈচিত্র্যের দিকে ইঙ্গিত করে পিয়ের মায়াউদঁ বলেন, ‘‘বাংলাদেশের তার রং হারানো উচিত হবে না৷''

এ বিষয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহেদুল আনাম খান (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশে আইএস আছে কি নেই – তা নিয়ে বিতর্ক করার সময় নেই৷ আসল কথা হলো, একটি গ্রুপ তাদের বিরোধী মতবাদের মানুষকে হত্যা করছে৷ তারা তাদের মতের সঙ্গে যাদের মত মিলছে না তাদেরকেই আক্রমণ করছে৷''

তিনি বলেন, আসলে আইএস আছে কিনা তা জরুরি নয়৷ তারা মানুষ হত্যা করছে, মুক্ত চিন্তায় আঘাত করছে – এটাই সত্য৷ তাই সরকারের উচিত হবে তাদের প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া৷''

শাহেদুল আনামের কথায়, ‘‘বিতর্ক করলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷ তারা আরো আগ্রাসী হবে৷ তাই সব মতের গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন৷''

আপনার কি মনে হয় বন্ধুরা? বাংলাদেশে কি আইএস সত্যিই আছে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান