1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইপ্যাড, আইফোন বেচে ‘লাল' অ্যাপেল

১৯ অক্টোবর ২০১০

কোথায় মন্দা, কোথায় সংকট? আইপ্যাড'এর মতো ডিভাইসের কল্যাণে অ্যাপেল কোম্পানি রেকর্ড মুনাফা করে বসে আছে৷ সোমবার জানা গেল এই তথ্য৷

https://p.dw.com/p/PhFt
আইপ্যাড হাতে স্টিভ জবসছবি: AP

ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে তিন মাস অন্তর লাভ-লোকসানের হিসাব নেওয়া হয়৷ সেই বিচারে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত অ্যাপেল'এর মুনাফা এর আগের তিন মাসের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে – অর্থাৎ টাকার অঙ্কে ৪৩১ কোটি ডলার৷

এই সাফল্যের রহস্য কী? চির-প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট'এর মতো অ্যাপেল তো কখনো বাজারের বিশাল অংশে থাবা বসাতে পারে নি৷ বরাবর অত্যন্ত বিশ্বস্ত কিছু ক্রেতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল অ্যাপেল'এর জিনিসপত্র৷ কিন্তু ইদানিং সেই চিত্রটা বদলাচ্ছে৷ চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে এই চিত্রটা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ মাত্র এক বছরের মধ্যে ঘটেছে এই বিস্ময়৷

Vorstellung des neuen iPhone 4 Flash-Galerie
কে না চায়, পকেটে একটা আইফোন থাকুক!ছবি: AP

ম্যাকিনটশ কম্পিউটারের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ৷ আইফোনের বিক্রি বেড়েছে ৯১ শতাংশ৷ সদ্য বাজারে আসা আইপ্যাডের বিক্রিও হু হু করে বেড়ে চলেছে৷ এবার অ্যাপেল টিভিও বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে৷

অ্যাপেল'এর প্রধান স্টিভ জবস সম্প্রতি বেশ নিপুণ কৌশলে বাজারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেশ কোণঠাসা করতে পেরেছেন৷ যেমন আইফোন এনে তিনি ব্ল্যাকবেরি'র প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য শেষ করেছেন৷ গুগল'এর অ্যান্ড্রয়েড ভিত্তিক মোবাইল ফোনের আকর্ষণও আইফোনের কাছে ফিকে হয়ে এসেছে৷ তবে সব সাফল্যের মূলে রয়েছে অ্যাপেল'এর মৌলিক নীতি৷ হার্ডওয়্যার থেকে সফটওয়্যার – সবকিছু তারা নিজেরাই তৈরি করে৷ সেখানে বাইরের লোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ৷ এভাবেই উচ্চ মানের পণ্য ও পরিষেবার মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে অ্যাপেল৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়