1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আতঙ্কে ‘ধর্ষণের শিকার’ রোহিঙ্গা কিশোরীর পরিবার

৪ অক্টোবর ২০১৯

বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে সেনা সদস্যদের দ্বারা ‘ধর্ষণের শিকার’ রোহিঙ্গা কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3QjvV
প্রতীকী ছবিছবি: Reuters/H. McKay

ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির পর সেনা সদস্যরা বিভিন্নভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছেন বলে বারো বছর বয়সি কিশোরীর বড় ভাই মোহাম্মদ উসমান জানিয়েছেন৷

ডয়চে ভেলেকে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘দুই দিন আগে রাতে আমাদের বাসার দরজায় সেনা সদস্যরা লাথি মারে, নাম ধরে ডাকাডাকি করে৷ আমাদের নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে৷ আমরা মামলা করতে ভয় পাচ্ছি৷ মামলা করলে তারা আমাদের ক্ষতি করতে পারে৷'' 

এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুল্লাহ ইবনে জায়েদ জানিয়েছেন, এই ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে৷ তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে৷

যেসব সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বেসামরিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘শিশুটির চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পরিবারের আইনি পরামর্শ এবং এই ঘটনার সাক্ষীদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৷ কোনো অপরাধীকেই রক্ষার চেষ্টা করা উচিত নয়৷''

প্রসঙ্গত, টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ১২ বছর বয়সি এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের তিন সদস্য ঘরের ভেতর ধর্ষণ করে বলে ওই কিশোরীর বড় ভাই জানান

ডয়চে ভেলেকে তিনি মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘‘একজন মুখ চেপে ধরে রেখেছে, আর দুই জন আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে৷''

ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরীকে প্রথমে শরণার্থী শিবিরের চিকিৎসাকেন্দ্র এবং পরবর্তীতে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও জানান উসমান৷ তাঁর ভাষ্য, ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে সংশ্লিষ্ট শরণার্থী শিবিরের সরকারি কর্মকর্তারাসহ ব়্যাব ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘তারা ঘটনা কিভাবে ঘটেছে জানতে চেয়েছে, আমার সঙ্গেও কথা বলেছে৷ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেয়া হবে৷'' 

কেন ফেরত যেতে চায় না রোহিঙ্গারা?

১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্য এই কিশোরী৷ তার জন্ম বাংলাদেশে৷ কিশোরীর পরিবার নয়াপাড়ার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা৷

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনী ভয়াবহ অভিযান শুরু করলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় আশ্রয় নেন৷ অতীতেও এভাবে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন আরো রোহিঙ্গা৷ সব মিলিয়ে দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে অবস্থান করছেন৷

এসআই/এসিবি