1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ভয়ালবাড়ির' দম্পতির গল্প

১৯ মার্চ ২০১৭

তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নারীদের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে নিয়ে অত্যাচার করতেন৷ সে সময় দু'জন ছিলেন স্বামী-স্ত্রী৷ পরে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও মামলার কারণে তাঁরা একইসঙ্গে দাঁড়িয়েছেন কাঠগড়ায়৷ সেখানেই শুরু হয়ে যায় ঝগড়া৷

https://p.dw.com/p/2ZL7N
এই সেই ‘ভয়াল বাড়ি’
এই সেই ‘ভয়াল বাড়ি’ছবি: Getty Images/A. Koerner

জার্মানির হ্যোক্সটার শহরে তখন স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা৷ স্বামী উইলফ্রেড ডাব্লিউ সংবাদপত্রে ক্লাসিফায়েড বিজ্ঞাপন দিয়ে মেয়েদের প্রলুব্ধ করতেন৷ বিজ্ঞাপন দেখে অনেক মেয়েই ছুটে যেতেন বাসায়৷ যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের আটকে ফেলা হতো এবং তারপর থেকে চলত অবর্ণনীয় অত্যাচার৷ উইলফ্রেডের তখনকার স্ত্রী আঙ্গেলিকা ডাব্লিউ সব কিছুর জন্য তাঁর সাবেক স্বামীকে দায়ী করেছেন৷

উইলফ্রেড ডাব্লিউ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

মূল অভিযোগ অবশ্য আঙ্গেলিকার কাছ থেকে আসেনি৷ দু'জন নারী হ্যোক্সটারের ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন৷ তাঁদের অভিযোগ, উইলফ্রেড ও আঙ্গেলিকার অত্যাচারে কমপক্ষে দু'জন নারী মারা গেছেন৷

জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যোক্সটারের ওই বাড়ির নাম দিয়েছে ‘হরর হাউস অফ হ্যোক্সটার'৷ সেই বাড়ির সাবেক কর্তা-কর্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে পাডারবর্ন শহরের আদালতে৷

জেরার মুখে উইলফ্রেড ডাব্লিউ সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, শৈশব থেকেই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে৷ মদ্যপ বাবা প্রায়ই তাঁকে পেটাতেন৷ বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷ নতুন জীবনসঙ্গী বেছে নেন মা৷ মায়ের নতুন সঙ্গীকেও বাবা হিসেবেই দেখতেন উইলফ্রেড৷ কিন্তু তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই উইলফ্রেড এবং তাঁর বোনের ওপর যৌন নিপীড়ন শুরু করেন৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)

জার্মানিতে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তা বিশ্বেস করতে পেরেছিলেন? লিখুন মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য