1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ট্রাভেল ব্যান’ বৈধ

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)২৭ জুন ২০১৮

নির্দিষ্ট কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশ থেকে অ্যামেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞাকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট৷ এই রায়ের ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসন ও শরণার্থী নীতি আরও কড়া করে তোলায় উৎসাহ পাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/30MPb
অভিবাসন ও শরমার্থী নীতি আরও কড়া করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Getty Images/D. Angerer

একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে তার পরিণতি সামলাতে অভ্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ আদালতও একাধিকবার তাঁর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে৷ তাই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেবার পর ট্রাম্প আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন৷ বিরোধীদের যুক্তি ছিল, নির্দিষ্ট কয়েকটি মুসলিম-প্রধান দেশ থেকে অ্যামেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত ধর্মীয় বৈষম্যের দৃষ্টান্ত৷ ফলে তা মার্কিন সংবিধান লঙ্ঘন করছে৷ সর্বোচ্চ আদালত সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে৷ আদালতের বক্তব্য, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ট্রাভেল ব্যান' মার্কিন অভিবাসন আইন অথবা ধর্মীয় বৈষম্য রুখতে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ 

নাগরিক অধিকার সংগঠন, বিরোধী ডেমোক্র্যাট দলসহ অনেক গোষ্ঠী আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ,বিক্ষোভ দেখা গেছে৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেভাবে কড়া হাতে মার্কিন অভিবাসন ও শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আনছেন, তার ফলে বিরোধীরা শঙ্কা প্রকাশ করেছে৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থী শিশুদের তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল৷ ফলে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকে নির্বাহী আদেশ জারি করে সেই নীতি প্রত্যাহার করতে হয়৷ তবে সেই আদেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷

আদালতের রায়ের পর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, এই রায় মার্কিন জনগণ ও সংবিধানের জন্য বিশাল জয়৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের অত্যন্ত কড়া হতে হবে, আমাদের নিরাপদ থাকতে হবে৷ কমপক্ষে আমাদের দেশে যারা প্রবেশ করছে, তাদের সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর করতে হবে৷ বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদী আন্দোলন যেভাবে নিরীহ মানুষের ক্ষতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সেই যুগে এটা অত্যন্ত জরুরি৷''  

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বেশিরভাগ মানুষ অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন না৷ এর আগে সেই তালিকায় অন্য কয়েকটি দেশও ছিল৷গত ডিসেম্বর মাস থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর রয়েছে৷ মামলা সত্ত্বেও মার্কিন প্রশাসনকে আদালত এই অনুমতি দিয়েছিল৷ ট্রাম্প তরুণ অভিবাসীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচিও বাতিল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

সুপ্রিম কোর্টে সাফল্য সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি সমস্যার মুখে পড়ছে৷ মার্কিন কংগ্রেসে এ সংক্রান্ত সার্বিক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না৷