1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আধুনিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশি নারী

৫ জুন ২০১০

দক্ষিণ এশিয়া তথা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের মত দেশগুলোতে গণমাধ্যমে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়ছে৷ বাড়ছে যে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ কিন্তু কতোখানি বাড়ছে এবং এই পথ চলতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় একজন নারীকে ?

https://p.dw.com/p/NimQ
ছবি: AP

একজন নারীর কথা বলতে গেলে কী ধরনের ছবি ভাসে সামনে বলুনতো ? বলা একটু কঠিন কেননা, বিশ্বের স্থান ভেদে নারীর চেহারা একেকরকম৷ ইউরোপের নারী সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রথমেই চোখে ভাসে দুর্দান্ত স্মার্ট, কর্মঠ, চৌকস একজন মানুষ, সে নারীই হোক বা পুরুষই৷ আফ্রিকা, এশিয়ার নারীও কিন্তু কর্মঠ, চৌকস এবং স্মার্ট৷ তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ প্রশ্নটা একটু অন্য জায়গায়৷ এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার কথা যদি বলি, তাহলে বলতে হয়, এই এলাকার নারীরা কী তাদের কর্মঠ, চৌকসতা এবং স্মার্টনেস সত্ত্বা বজায় রেখে জীবন যাপন করতে পারেন ? অথবা কর্মক্ষেত্রে চলতে পারেন ?

ভারত, বাংলাদেশে গণমাধ্যম এবং ব্যাংকে কর্মী হিসেবে নারীর সম্পৃক্ততা বাড়ছে৷ বাংলাদেশে ১৯৪০-এর দশকে পত্রিকায় নারীর সম্পৃক্ততা শুরু হলেও, সংখ্যার দিক দিয়ে তা ছিল খুবই স্বল্প৷ অর্ধ শতাব্দেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে৷ দেশটির গণমাধ্যমে নারীর সম্পৃক্ততা বেড়েছে, তাতে সন্দেহ নেই৷ কিন্তু এই খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তা আশানুরুপ নয়৷ সাংবাদিকতায় নারীর অবস্থান এক চতুর্থাংশেরও কম৷ আর বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে যেই হারে নারী সম্পৃক্ত হয়েছে, সেইহারে পত্রিকাগুলোতে নারীকে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি৷ ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমগুলোতে একজন নারী সাংবাদিককে, তাঁর পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে সবসময়ই প্রতিযোগিতা করেই টিঁকে থাকতে হচ্ছে৷ সেটি অবশ্য যে কোন পেশাতেই করতে হচ্ছে বলা যায়৷ কিন্তু মেয়েরা কী এই পেশাতে স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারছেন ? সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি৷

Überschwemmung in Bangladesch
ছবি: AP

স্টাইন একার্ট৷ দুই সপ্তাহ তিনি বাংলাদেশে সাক্ষাত্কার নিয়েছেন, তারপর পরিস্থিতি কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন৷ তাঁর মতে পেশাদারি কাজ, যেমন, সাংবাদিকতা, এইখাতে বাংলাদেশে এখনও পুরুষের আধিপত্য৷

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, দেশের সাংবাদিক তৈরির হাতেখড়ির জায়গা বলা যায়৷ এই বিভাগেরই চেয়ার এবং অধ্যাপক ড. গিতিআরা নাসরীন৷ তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে নারীর সংখ্যা এবং সমস্যা সম্পর্কে৷ তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে যত বেশি নারী কাজ করছেন, পত্রিকায় সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ততো বেশি নারীকে সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়না৷ তিনি জানান, বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি দেখেছেন, কর্মক্ষেত্রে সমাজ বা পরিবার কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না, কর্মক্ষেত্রে তাঁদের সবচেয়ে বড় শত্রু পুরুষ সহকর্মীরা৷

প্রতিবেদন : ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার