1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে সৈন্য রাখার পক্ষে জার্মানি

১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

আফগানিস্তানে নিয়োজিত জার্মান সৈন্যদের পরিদর্শন করার সময় জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন যে, আইসাফ বড় তাড়াতাড়ি আফগানিস্তান থেকে পশ্চাদপসারণ করেছে৷

https://p.dw.com/p/2pc7z
Afghanistan Weihnachten Bundeswehr | Ursula von der Leyen, Verteidigungsministerin
ছবি: AFP/Getty Images

উত্তর আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ শহরে অবস্থিত ক্যাম্প মার্মাল সৈন্যশিবিরে ষষ্ঠবারের মতো পা দিলেন ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো সৈন্যদের বড় বেশি দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, বলে তাঁর অভিমত৷

ফন ডেয়ার লাইয়েন সোমবার ক্যাম্প মার্মালে বলেন, ‘‘আমরা যখন (২০১৪ সালে) ব্যাপকভাবে সৈন্য কমিয়ে সাততাড়াতাড়ি পশ্চাদপসারণ করি, তখন গোড়ার দিকে যে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তা আমি ভুলিনি৷'' আফগানিস্তানে যে এখনও একটি সংঘাত চলেছে, তা সকলের কাছেই স্পষ্ট, বলে তিনি যোগ করেন৷

‘‘এখনও অনেক কাজ বাকি আছে, কিন্তু আফগানিস্তান মিশনের মাধ্যমে আমরা ঠিক দিকে চলেছি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস,'' ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন৷ ‘‘আমাদের আরো অনেক শক্তি ব্যয় করতে হবে – আফগানিস্তান নিয়ে আরো বহুকাল ব্যাপৃত থাকতে হবে,'' বলে তাঁর ধারণা৷

২০০১ সালের নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসের পর ওয়াশিংটনের ‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের'' অঙ্গ হিসেবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি জোট আফগানিস্তানে অভিযান চালায়৷ সেযাবৎ জার্মান সৈন্যরা প্রায় ১৬ বছর ধরে আফগানিস্তানে নিযুক্ত রয়েছে৷ ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে জার্মান সামরিক বাহিনীর বৃহত্তম বৈদেশিক অভিযান হলো এই আফগানিস্তান মিশন৷ অন্য কোনো মিশনে বুন্ডেসভেয়ারের এত বেশি সৈন্য প্রাণ হারাননি৷

মূলত আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে এখনও হাজার খানেক  জার্মান সৈন্য আফগানিস্তানে রয়েছেন৷

তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি

ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্ট্যান্স ফোর্স (আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী) বা আইসাফ-এর অভিযানের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সারা বিশ্ব থেকে আগত প্রায় দেড় লাখ সৈন্য আফগানিস্তানে ছিল৷ বর্তমানে মাত্র ১৭,০০০ অবশিষ্ট রয়েছে, যাদের মধ্যে ১০,০০০ মার্কিন সৈন্য৷

ওদিকে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমেই আরো সঙ্গিন হয়ে উঠছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন জার্মানির উপর আফগানিস্তানে আরো বেশি সৈন্য পাঠানোর জন্য চাপ দিয়ে চলেছে – নতুন জার্মান সরকার গঠিত হবার আগে বার্লিন যা করতে দ্বিধা বোধ করছে৷

গত সপ্তাহে নবনির্বাচিত জার্মান সংসদ  আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের মিশনের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়ে দেয় – আশা যে, ঐ সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠিত হবে ও সেই নতুন সরকার আফগানিস্তান মিশন সম্পর্কে তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন৷

সেপ্টেম্বরের নির্বাচন যাবৎ ৮৫ দিন কেটে গেছে, কিন্তু চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ-সিএসইউ দল এখনও কোনো উপযুক্ত জোট সহযোগী খুঁজে পায়নি৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য