1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয় খুললো, ক্লাসে মেয়েরা

৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বুধবার আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে বিশ্ববিদ্যালয় আবার খুললো। প্রথম দিন মেয়েরাও ক্লাসে ছিলেন।

https://p.dw.com/p/46RPj
২০১০ সালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ছবি। ছবি: Majid Saeedi/Getty Images

তালেবান জানিয়েছে, মেয়েরাও ক্লাস করতে পারবে, তবে তাদের ছেলেদের থেকে আলাদা বসতে হবে এবং পাঠ্যসূচিতে 'ইসলামিক প্রিন্সিপাল' থাকতে হবে। আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের শিক্ষার বিষয়টি খুবই জরুরি।

গত অগাস্টে তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ ছিল। বুধবার বেশ কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুললো। কাবুল-সহ বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলবে।

সংবাদসংস্থা এএফপি দেশের পূবদিকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা জানিয়েছে। সেখানে প্রবেশদ্বারে সশস্ত্র তালেবান বন্দুকধারীরা উপস্থিত ছিল। সেখানে অল্প কিছু মেয়েকেও ঢুকতে দেখা গেছে। তারা বোরখা পরে ছিলেন। তবে প্রথম দিন খুব বেশি ছাত্রছাত্রী আসেননি।

রয়টার্স জানাচ্ছে, জালালাবাদে আলাদা দরজা দিয়ে ছাত্রীদের ঢুকতে দেখা গেছে। এএফপি-কে একজন ২৩ বছর বয়সি অঙ্কের শিক্ষার্থী বলেছেন, ''আমাদের জানানো হয়েছে, শরিয়া আইন অনুযায়ী ক্লাস হবে।''

নারী অধিকার

তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর থেকেই নারীদের শিক্ষা ও নারী অধিকারের বিষয়টি সামনে এসেছে। তালেবান বেশ কিছু কড়াকড়ি চালু করেছে। মেয়েরা টিভি শো বা সিনেমা করতে পারবে না। নারী সম্পর্কিত মন্ত্রকও আর নেই।

অক্টোবরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, তালেবান মেয়েদের উচ্চশিক্ষার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। অধিকাংশ সেকেন্ডারি স্কুল মেয়েদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে তালেবান ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে। তারা তখন মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

তালেবান এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাইছে। কিন্তু অধিকাংশ সরকারই জানিয়ে দিয়েছে, মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা না করলে তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রশ্ন নেই। সম্প্রতি নরওয়েতে পশ্চিমা দেশগুলির কূটনীতিকদের সঙ্গে বসেছিলেন তালেবান প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা বলেছেন, আফগানিস্তানে এখন নারীদের অধিকারের বিষয়টি খেয়াল রাখা হচ্ছে। 

জিএইচ/এসজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)