1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে সামরিক কৌশল নিয়ে নতুন বিতর্ক

১৫ নভেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অভিযান কমানোর এবং আফগান জনগণের দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ না করার আহ্বান জানালেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই৷ কারজাই এর মন্তব্যে হতাশ মার্কিন নীতি নির্ধারকরা৷

https://p.dw.com/p/Q8VQ
Afghan, National, Army, Kabul, Afghanistan, আফগানিস্তান, সামরিক, কৌশল, মার্কিন, প্রেসিডেন্ট, হামিদ, কারজাই
ফাইল ছবিছবি: AP

মূলত আফগানিস্তানে জঙ্গি দমনে মার্কিন সামরিক কৌশলের বিরুদ্ধেই তাঁর এই হুঁশিয়ারি৷ তাঁর দাবি, সামরিক তৎপরতা হ্রাস করে বরং জনগণের জীবন মান উন্নয়নে বেসামরিক উদ্যোগ বাড়াতে হবে৷ ‘ওয়াশিংটন পোস্ট'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সেখানে প্রায় এক লাখ মার্কিন সৈন্যের উপস্থিতি এবং বিশেষ করে রাতের বেলা আফগানদের বাড়ি-ঘরে মার্কিন বাহিনীর তল্লাশি অভিযান জনগণের আবেগকে উস্কে দিচ্ছে এবং তরুণ আফগানদের জঙ্গি তৎপরতায় যোগ দিতে উৎসাহিত করছে৷

স্পষ্ট ভাষায় তিনি বললেন, ‘‘এসব অভিযান সবসময়ই একটি সমস্যা৷ এটা আগেও সমস্যা ছিল এবং এখনও সমস্যা৷ তাদেরকে এটা বাদ দিতে হবে৷ আফগান জনগণ এমন অভিযান পছন্দ করে না৷ যদি কোন তল্লাশি অভিযান চালাতেই হয়, তা আফগান আইনের আওতায় আফগান সরকার চালাবে৷ এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েই গেছে৷'' অবশ্য বিদেশি সৈন্যদের একবারে হঠাৎ করেই প্রত্যাহার করার পক্ষে নন কারজাই৷ বরং তিনি চান, মার্কিন সৈন্যদের তৎপরতা সেনাঘাঁটি ভিত্তিক সীমিত করা হোক এবং প্রয়োজন অনুসারে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা বরাবর অভিযান চালানো হোক৷

কারজাই এর এসব বক্তব্যে হতাশ হয়েছেন মার্কিন নীতি নির্ধারকরা৷ মার্কিন সিনেটে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম বিষয়ক কমিটির সদস্য রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, রাতের এসব অভিযান বন্ধ করাটা হবে খুব বড় বিপর্যয়৷ ঠিক একই ধরণের মন্তব্য করলেন ন্যাটোর এক সামরিক কর্মকর্তা৷ বললেন, ‘‘শীঘ্রই এ ধরণের অভিযানের কোন বিকল্প পাওয়া যাবে বলে আমি মনে করি না৷'' এবিসি টেলিভিশনে গ্রাহাম বলেন, ‘‘আমাদের সামরিক শীর্ষ কর্তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি যে, রাতের এসব অভিযান তালেবান এবং সার্বিকভাবে জঙ্গিদের উপর বেশ প্রভাব ফেলেছে৷''

এদিকে, যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস বললেন, পশ্চিমা গোষ্ঠী আল কায়েদা এবং অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে পরাজিত করতে সক্ষম হবে না, বরং শুধু দমন করতে পারবে৷ ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইসলামি জঙ্গিদের পরাজিত করাটা ‘‘অপ্রয়োজনীয় এবং তা কখনও অর্জিত হবে না৷'' তবে সুস্পষ্ট বিজয় সম্ভব না হলেও আল কায়েদাকে এতোটা দমন করা সম্ভব হবে যে যুক্তরাজ্যের জনগণ নিরাপদ থাকতে পারবে৷ রিচার্ডস আরো বলেন, আফগানিস্তানে ঝুঁকির মাত্রা অনুধাবন করতে পারেনি যুক্তরাজ্য৷ এছাড়া সেখানে নিজেদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ন্যাটো বাহিনীর অক্ষমতায় আফগানিস্তানের মানুষ বেশ বিরক্ত বলেও মন্তব্য করেন রিচার্ডস৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য