1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে স্কি জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

২২ মার্চ ২০১১

যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের বামিয়ান প্রদেশে নতুন আশা হয়ে এসেছে স্কি৷ বরফে ঢাকা পাহাড়ি এই জনপদ হয়ে উঠতে পারে স্কি প্রেমীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ, যা সেখানকার পর্যটনকে আরও লাভবান করে তুলবে৷

https://p.dw.com/p/10f0y
ছবি: AP

রাজধানী কাবুল থেকে ২৩০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত এই বামিয়ান অঞ্চল৷ আফগানিস্তানের অন্যতম শীতপ্রধান জায়গা এটি৷ পাথুরে পর্বতের গা বেয়ে জমে থাকে সাদা বরফ, যা বহু দূর থেকেও দৃষ্টি কেড়ে নেয়৷ একটা সময় ছিল যখন বামিয়ান এলাকাতে ছিল বেশ কিছু স্কি ক্লাব৷ তখনও আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের আগ্রাসন হয়নি৷ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এবং বিদেশি পর্যটকরা বরফে ঢাকা পর্বতাঞ্চলে ছুটে আসতো স্কি-র জন্য৷ কেবল এজন্যই নয়, সেখানকার বিশাল আকারের দুটি বুদ্ধ মূর্তিও ছিল বহু পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু৷ বছরের অনেকটা সময় বামিয়ান জমজমাট থাকতো স্কি প্রেমিক এবং পর্যটকদের আনাগোনায়৷ কিন্তু যুদ্ধ সেই সবকিছু কেড়ে নিয়েছে৷ তালেবান শাসনামলে প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো বুদ্ধ মূর্তি দুটিও ভেঙ্গে ফেলা হয়৷ এখন বামিয়ানে সেখানকার আফগানদের ছাড়া আর কাউকে তেমন দেখা যায় না৷

তবে সেখানকার পর্যটনকে আবারও জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ আর এর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে স্কি৷ প্রকৃতির সৌন্দর্যকে কেড়ে নিতে পারেনি দীর্ঘ কয়েক দশকের যুদ্ধ আর অস্থিরতা৷ এখনও শীতকালে বামিয়ান অঞ্চলের সাদা বরফে ঢাকা পর্বতের চূড়া যে কাউকে মুগ্ধ করবে৷ খাড়া পাহাড়ের গা বেয়ে স্কি করার জন্য বিদেশি অনেক পর্যটক সেখানে যেতে শুরু করেছেন৷

শুধু তাই নয়, স্থানীয় অনেক লোকই এখন স্কি প্রশিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে৷ যেমন সেখানকার অধিবাসী সাইয়্যেদ আলী শাহ৷ কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে দেখা হয় ১৭ বছরের ইতালীয় স্কি প্রশিক্ষক ফার্দিনান্দো রোনাল্ডোর সঙ্গে৷ প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলেন শাহ রোনাল্ডোর সঙ্গে দেখা করে৷ স্কি-র পোশাক আশাক তার কাছে অদ্ভুতই ঠেকেছিল৷ চেয়েছিলেন পড়াশোনা করে প্রকৌশলী হবেন৷ কিন্তু দিন কয়েক রোনান্ডোর সঙ্গে স্কি করে এর প্রেমে পড়ে গেছেন৷ তাই এটাকেই এখন পেশা হিসেবে নিয়েছেন৷ শুধু তিনিই নন, বামিয়ানের আরও অনেক লোক এখন আগ্রহ হচ্ছে স্কি শিখতে এবং শেখাতে৷ যাতে করে স্কি প্রেমী পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে এই অঞ্চলে, সঙ্গে তাদের ভাগ্যটাও ফেরে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন