1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান যুদ্ধে তালেবানরা মনুষ্য বর্ম ব্যবহার করছে

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০

দক্ষিণ আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর হামলার ৬ষ্ঠ দিন অতিবাহিত হলো বৃহস্পতিবার৷ তবে আগের চেয়ে সফলতার হার কমে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/M4yI
আফগান যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীছবি: AP

কমান্ডাররা বলছেন, তালেবান জঙ্গিরা মনুষ্য বর্ম ব্যবহার শুরু করেছে বলে সাফল্যের অগ্রগতি ধীর হয়ে গেছে৷

দক্ষিণ আফগানিস্তানের মারজাহ এলাকা যেখানে ন্যাটো বাহিনী হামলা চালাচ্ছে সেটি তালেবানের শক্ত ঘাঁটি বলে জানা গেছে৷ আফগানিস্তানে আট বছরের যুদ্ধ শেষ করার ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেষ্টার প্রথম পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এই আক্রমণকে৷

প্রায় ১৫ হাজার আফগান, মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্য যুদ্ধ করছে ৪০০ থেকে এক হাজার তালেবান জঙ্গির বিরুদ্ধে৷ ২০০১ সালের পর আফগানিস্তানে এটাই সবচেয়ে বড় আক্রমণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

Afghanistan NATO Marines Soldaten Krieg
এক তালেবান জঙ্গির আত্মসমর্পণছবি: AP

আফগান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল মোহাইদিন ঘোড়ি বলছেন, জঙ্গিরা সাধারণ জনগণকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে৷ তারা বিভিন্ন বাসা বাড়ির ছাদে নারী ও শিশুদের তুলে দিয়ে তাদের পিছন থেকে গুলিবর্ষণ করছে৷

একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলছেন, একটি বাসার জানালা থেকে একজন জঙ্গিকে তিনি গুলি করতে দেখেছেন৷ অথচ তার পেছনেই কয়েকজন অস্ত্রহীন নিরীহ মানুষকে দেখা গেছে৷ এছাড়া ঐ বাড়ির সামনে ক্রন্দনরত একটি শিশুকেও দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল৷

তবে তালেবান মুখপাত্র মনুষ্য বর্ম ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন৷

এছাড়া তালেবান জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় মাইন পুঁতে রেখেছে, যে বিষয়টিও সাফল্যের গতিকে কমিয়ে দিচ্ছে বলে কমান্ডাররা মনে করছেন৷

আফগান সেনাবাহিনীর দক্ষিণাংশের কমান্ডার জেনারেল শের মোহাম্মদ জাজাই বলেছেন, তাঁরা মারজাহ অঞ্চলটি প্রায় দখল করে ফেলেছেন৷ তবে তিনি বলছেন, জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় মাইন পুঁতে রেখেছে, যা তাঁদের অগ্রগতিকে ব্যাহত করছে৷

এদিকে হামলার কারণে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে প্রাদেশিক রাজধানী লস্কর ঘা ও প্রতিবেশী প্রদেশ নিমরোজের দিকে পালিয়ে গেছে, যেখানে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ক্ষুধার্ত পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করছে৷

ঘোড়ি বলছেন, সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেক তালেবান জঙ্গিও রয়েছে৷ তবে তিনি বলছেন, পুলিশ ইতিমধ্যে মারজাহর বাজার এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং তারা মাইনগুলো সরিয়ে দিয়ে শীঘ্রই পুরো অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হাতে নিতে পারবে৷

Afghanistan / US-Soldaten / Helmand / NO-FLASH
আফগান ও বিদেশী সৈন্যরা একটি গ্রাম পাহারা দিচ্ছেছবি: AP

এদিকে পাকিস্তান সরকার বলছে মারজাহ এলাকার জনগণ যেভাবে পালিয়ে যাচ্ছে তাতে তারা পাকিস্তান সীমান্তে পুনরায় জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন, যেমনটি হয়েছিল ২০০১ সালের যুদ্ধের সময়৷

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানী ইতিমধ্যে বিষয়টি ইসলামাবাদে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বিষয়ক মার্কিন দূত রিচার্ড হলব্রুকের কাছে উত্থাপন করেছেন৷

এই ছয়দিনে এখন পর্যন্ত ৪০ তালেবান জঙ্গি, পাঁচজন ন্যাটো সৈন্য ও ১২ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷

প্রতিবেদন : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার