1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে চীনকে আহ্বান জানাল জার্মানি

২ নভেম্বর ২০১০

আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় ধরে চলমান সহিংসতা ও বিরাজমান অস্থিতিশীলতা নিরসনে, সেখানকার অমীমাংসিত সহিংসতা বন্ধে এবং দ্রুত স্থিতিশীলতা আনার লক্ষ্যে চীনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এখন চীনে৷

https://p.dw.com/p/PwLa
কার্ল-থেওডর সু গুটেনব্যার্গছবি: AP

চীন সফররত জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থেওডর সু গুটেনব্যার্গ আজ মঙ্গলবার বেইজিং এ চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে চীনের এগিয়ে আসতে হবে৷ উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে এই তালেবানি সহিংসতা আর অস্থিতিশীলতা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ জানা গেছে, লিসবনে নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো সম্মেলনেরও অন্যতম আলোচ্য বিষয় হবে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা৷

‘আমাদের চাওয়া হচ্ছে - নূন্যতম স্থিতিশীল ও নিরাপত্তা রয়েছে এমনই একটি আফগানিস্তান, এ'প্রশ্নে আমরা মত বিনিময় করেছি এবং কবে নাগাদ তা আমরা অর্জন করতে পারবো সেবিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছি'- চীন সফররত জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল-থিওডর জ্যু গুটেনবার্গ চীনের বেইজিংস্থ জার্মান দূতবাসে আজ একথা জানান৷ তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্য এখানে চীনের কোন সামরিক ভূমিকা নেই, বা তাকে তা পালন করতেও হবে না৷'

উল্লেখ্য, এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজারেরও অধিক ন্যাটো সৈন্য থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে হতাহত এবং ক্ষয়-ক্ষতি রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে৷ বেশ কয়েকটি ইউরোপিয় এবং ন্যাটোভূক্ত দেশকে এই ক্রমবর্ধমান রক্তাক্ত যুদ্ধের কারণে তাঁদের জনগণের প্রবল চাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ ফলে আর কতদিন তারা আফগানিস্তানে তাদের সৈন্য রাখতে পারবে এ নিয়েও শংকা তৈরি হয়েছে৷

গুটেনবার্গ আরো বলেন, চীন চাইলে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের এই সহায়তার শুরুটি করতে পারে৷ তিনি বলেন, এই সহায়তার ক্ষেত্রটি ক্রমশ আরো বিস্তৃত হতে পারে, যেমনটি ইউরোপ আফগানিস্তানের প্রতি তার সহায়তার হাত আরো বিস্তৃত করেছে, আফগান শান্তির লক্ষ্যে ন্যাটো যেমনটি করেছে৷ তিনি বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যের কথা বললে আমরা চাইলেই তা অর্জন পারি, এবং আমাদের তা অর্জন করতেই হবে৷

এদিকে আফগানিস্তান থেকে অদুর ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনেরও সৈন্য গুটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে এই সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে বলেই জানা গেছে৷

উল্লেখ্য, ন্যাটো বাহিনীতে সর্বাধিক সৈন্য পাঠানোর দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি৷ দেশটির প্রায় চার হাজার ছয়শো সৈন্য ন্যাটো বাহিনীর সদস্য হিসেবে আফগানিস্তানে রয়েছেন এবং জার্মানিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই আফগানিস্তান থেকে ২০১১ সাল নাগাদ জার্মানি তার দেশের সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি শুরু করবে৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক