আফ্রিকার এই ভবনগুলো অনুকরণীয় হতে পারে
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে টিকে থাকার বিষয়টি আফ্রিকার স্থাপত্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ এখানে ছয়টি ভবনের কথা তুলে ধরা হলো, যেগুলো জ্বালানি সাশ্রয় ও রিসাইক্লিংয়ের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে৷
সবুজ ভবনে শিক্ষাগ্রহণ
আঙ্গোলার আগোস্টিনো বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বলা হয় আফ্রিকার অন্যতম সবুজ ভবনগুলোর একটি৷ পার্কিন্স আর উইল স্থপতিদের নকশায় গড়া এই ভবনে শ্রেণিকক্ষগুলোতে বাতাস চলাচলের দারুণ ব্যবস্থা আছে, পাশাপাশি কক্ষগুলো বেশ ঠাণ্ডা৷
জিবুতি’র প্রাকৃতিক ডোম
জিবুতির এই ইকো ডোম তৈরি হয়েছে ‘সুপারঅ্যাডোবি ব্যাগ’ দিয়ে, যেটি একধরণের বালির ব্যাগ, স্থানীয় মাটি দিয়ে ভরা৷ এটি নির্মাণ করেছেন কার্লআর্থ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং স্থপতি নাদের খলিলি৷ ইরানের মরুভূমির স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
খড়ের তৈরি বাড়ি
খড় দিয়ে যে অসাধারণ ও বিচিত্র স্থাপত্য গড়া যায়, সেটিই সবাইকে দেখাতে চেয়েছিলেন টোনি বাডেন৷ নিউ আর্থ আর্কিটেকচার এবং উল্ফ অ্যান্ড উল্ফ আর্কিটেকচারের সঙ্গে কাজ করেন তিনি৷ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম টেকসই বাড়ি বানিয়েছেন৷
প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার
কেনিয়ার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নিং রিসোর্স সেন্টারে প্রকৃতির কথা মাথায় রেখেই স্থানীয় সহজলভ্য জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে৷ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মুসাও কিমিউ প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার করেন, যাতে কম জ্বালানি খরচ হয়৷ পাশাপাশি বাতাস চলাচল করতে পারে এমনভাবে ভবন নির্মাণ করেছেন তিনি৷
উইপোকার আবাস থেকে অনুপ্রেরণা
জিম্বাবুয়ের ‘ইস্টগেট সেন্টার’ নির্মাণের সময় উইপোকাদের ঢিবি থেকে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থার অনুপ্রেরণা নেয়া হয়েছে৷ মিক পিয়ার্সের নকশায় নির্মিত বেশিরভাগ ভবন এমনভাবে তৈরি, যার দেয়াল শীতের সময় গরম এবং গরমের সময় ঠাণ্ডা থাকে৷ এই ভবনগুলোয় মাত্র ১০ ভাগ জ্বালানি খরচ হয়৷ কেননা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের কোনো খরচ নেই৷
কাদার চেয়েও বেশি
ঘানায় ‘হাইভ আর্থ’ নামে একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আছে, যারা প্রাচীন পদ্ধতিতে বাড়ি নিমার্ণ করে৷ এই প্রক্রিয়ার নাম ‘ব়্যামড আর্থ’৷ এটি ল্যাটেরাইট, কাদা আর গ্রানাইটের টুকরো এবং অল্প সিমেন্ট দিয়ে তৈরি একটি মিশ্রন৷ এই মিশ্রন দিয়ে তৈরি ভবনগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে ভূগর্ভস্থ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে৷