আফ্রিদি কি নির্বাচনে জিততে পারবেন?

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ার বিভাগের খাইবার জেলার একটি আসন থেকে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে লড়ছেন নাহিদ আফ্রিদি৷ শনিবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে৷ জেলার জামরুদ এলাকায় আফ্রিদির নির্বাচনি প্রচারণা কার্যালয় অবস্থিত৷ ১২ জন পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি৷

আফ্রিদির পোস্টার নিয়ে আছে ছোট্ট এক মেয়ে৷ ডয়চে ভেলেকে আফ্রিদি বলেন, পুরুষপ্রধান সমাজে নারীদের নির্বাচন করা কঠিন৷ তবে তরুণীদের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকতে তিনি আত্মবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন৷ যে এলাকা থেকে তিনি ভোট করছেন সেখানকার নারীদের আফ্রিদির সঙ্গে প্রচারণায় যোগ দেয়ারও অনুমতি নেই৷

খাইবার এলাকায় পুরুষদের আড্ডা দেয়ার জায়গা ‘হুজরা’ নামে পরিচিত৷ সেখানে মেয়েদের যাওয়ার অনুমতি নেই৷ তবে আফ্রিদি সেখানে গিয়েছেন এবং মুরুব্বিদের মাঝে প্রচার চালিয়েছেন৷ ৬০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ডয়চে ভেলেকে বলেন, তিনি আফ্রিদির প্রচারণা চালানোর দক্ষতা দেখে মুগ্ধ৷ এমন কিছু সমস্যা আছে যা মেয়েরা ভালোভাবে সমাধান করতে পারেন বলে মনে করেন তিনি৷

স্থানীয় দোকানদারদের কাছে ভোট চাইছেন আফ্রিদি৷ তাঁদের বোঝাতে চাইছেন এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন তাঁকে ভোট দেয়া জরুরি৷ গ্রামের পর গ্রাম, হাটবাজার, হুজরায় প্রচারণা চালিয়ে তাঁর মনে হয়েছে, তিনি সফল হবেন৷ আফ্রিদি ছাড়াও অন্য আরেকটি আসন থেকে মালাসা নামে আরেক নারী প্রার্থী হয়েছেন৷ খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পরিষদের ১৬টি আসনে শনিবার ভোট হবে৷

আফ্রিদি যে এলাকা থেকে নির্বাচন করছেন সেখানকার মেয়েদের প্রচারে বের হওয়ার অনুমতি না থাকলেও শিশুরা এগিয়ে এসেছে৷ তারা যতটা সম্ভব আফ্রিদির হয়ে কাজ করছে৷

স্থানীয় এক সমাজকর্মী ডয়চে ভেলেকে বলেন, খাইবার জেলায় মেয়েদের শিক্ষিত হতে উৎসাহ দেয়া হয় না৷ পুরুষেরা নারীদের বলে দেন কাকে ভোট দিতে হবে৷ এই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আফ্রিদির বিজয় চেয়েছেন ঐ সমাজকর্মী৷ আফ্রিদি মেয়েদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি মনে করেন৷

Afridi's campaign makes a statement for women in a region where girls are not allowed to attend school and men tell women who to vote for. Here a young student takes a selfie with Afridi. He told DW he supports her and will encourage his female family members to vote for her. "We believe this will be a positive change in tribal areas and we are in dire need of female candidates in the assembly."