আবর্জনা নিয়ে যুদ্ধ!
রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য নেওয়া হয় এক দেশ থেকে আরেক দেশে৷ কিন্তু সম্প্রতি সে আবর্জনা নিয়ে বিরোধ চলছে কয়েকটি দেশের মধ্যে৷ উৎস দেশে ময়লা ফেরত পাঠানোর ঘটনা ঘটছে৷
ময়লার গন্তব্য যখন ক্যানাডা
ক্যানাডা থেকে রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য এসেছিল ফিলিপাইন্সে৷ কিন্তু অবৈধভাবে আসার কথা বলে আবর্জনার ৬০টি কন্টেইনার ফেরত পাঠাচ্ছে ফিলিপাইন্সে৷ দীর্ঘ কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের পর শুক্রবার ময়লাবাহী জাহাজ ক্যানাডার ভ্যাংকুভারের পথ ধরে৷
আবর্জনার জন্য যুদ্ধের হুমকি!
ফিলিপাইন্স থেকে যেসব বর্জ্য ক্যানাডায় ফেরত যাচ্ছে, সেগুলো এসেছিল ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে৷ ২০১৬ সালে এসে যে-কোনো বর্জ্য আমদানিকে অবৈধ ঘোষণা করে ফিলিপাইন্সের আদালত৷ এরপর ক্যানাডায় ময়লা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ফিলিপাইন্স৷ এ নিয়ে কূটনৈতিক বিরোধের মধ্যে ফিলিপাইন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে বলেছিলেন, এর জন্য প্রয়োজনে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করবেন৷
উন্নত দেশের ভাগাড়
‘দ্য ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ৩০০ মিলিয়ন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়৷ ব্যবহারের পর এর একটা অংশ ধ্বংস করা হলেও বেশিরভাগ যায় সমুদ্রে৷ এর মধ্যে রিসাইক্লিংয়ের জন্য উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যায় প্রায় সাত হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা৷ যেন এসব দেশ উন্নত দেশের ভাগাড়!
এখন আর বর্জ্য নেয় না চীন
পৃথিবীর প্লাস্টিক আবর্জনার ৫৬ ভাগই রিসাইক্লিং করতো চীন৷ কিন্তু গত বছর দেশটি প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি বন্ধ করে দেয়৷ এখন মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ পরিণত হয়েছে আবর্জনার গন্তব্যে৷
৩৩০০ টন বর্জ্য ফেরত দিচ্ছে মালয়েশিয়া
সম্প্রতি রিসাইক্লিংয়ের জন্য আসা প্লাস্টিক বর্জ্য উৎস দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে মালেয়শিয়া৷ মালেয়শিয়া সরকার জানায়, ৩ হাজার ৩০০ টন নন-রিসাইক্লেবল প্লাস্টিক বর্জ্য অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশে ফেরত যাবে৷
বাংলাদেশেও ফেরত যাবে বর্জ্য
মালয়েশিয়া প্লাস্টিক বর্জ্য পাঠানোর জন্য যেসব দেশের তালিকা করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে৷ ফেরত পাঠানোর জন্য কুয়ালালামপুরের একটি বন্দরে জড়ো করা ময়লার কন্টেইনারে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে আসা কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি)-ও তাতে ছিল৷