1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বিপ্লব এনেছে স্মার্টফোন অ্যাপ

১৫ মে ২০১৯

রোদ, বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝাটের পূর্বাভাষ পেতে আগে রেডিও-টেলিভিশনের উপর নির্ভর করতে হতো৷ আজ স্মার্টফোন অ্যাপ স্থানকাল নির্বিশেষে নির্ভরযোগ্য তথ্য হাতের মুঠোয় এনে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3IVfD
App Regen
ছবি: picture-alliance/dpa

মানুষের জীবনে আবহাওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ বিশ্বে সবকিছুর উপরেই আবহাওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়ে৷ ব্যবসা-বাণিজ্য, পরিবহণ, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাষ ছাড়া ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়৷

যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায় আবহাওয়ার পূর্বাভাষ পেতে আজকাল স্মার্টফোনের অ্যাপই যথেষ্ট৷ জার্মানির বন শহরের এক কোম্পানি আবহাওয়া ও রাডার অ্যাপ সৃষ্টি করে৷ এমন অ্যাপ কীভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেয়, তার একটা ধারণা পাওয়া গেল৷ আবহাওয়াবিদ বিয়র্ন বায়ার এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা কোনো ওয়েদার স্টেশন চালাই না৷ তার বদলে আমরা বিপুল পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করি, যা আগে থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে৷ সেই পরিমাণ তথ্য সামলানোই আসল চ্যালেঞ্জ৷''

অনেক বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিখুঁত ফলাফল পাওয়াই ডেটা প্রসেসিং প্রক্রিয়ার আসল গুরুত্ব৷ বিয়র্ন বায়ার আরও বলেন, ‘‘শুধু তথ্য ব্যবহার করলে বিষয়টা এমন হতো না৷ সেগুলি একত্র করে তার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে হয়৷ এই কোম্পানিতে এত আবহাওয়াবিদ, পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞের মতো বিশেষজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি কঠিন৷ তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা তো আছেনই৷ সেইসঙ্গে আমরা সমান্তরাল কম্পিউটিং ও মেশিন লার্নিং-ও কাজে লাগাই৷''

কিছু পেশার ক্ষেত্রে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ অত্যন্ত জরুরি৷ কাজের পরিকল্পনা থেকে প্রয়োগ পর্যন্ত তার বিশাল গুরুত্ব রয়েছে৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাষের অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসা আরও উন্নত হয়ে উঠতে পারে৷ কৃষিভিত্তিক শিল্প তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত৷ অ্যাপ ম্যানেজার অংশুল আগরওয়াল মনে করেন, ‘‘অ্যাপ আপনাকে ১৪ দিনের পূর্বাভাষ দেয়৷ আপনি বাতাস, রোদ ও বৃষ্টি সংক্রান্ত তথ্য পেতে পারেন৷ গ্রীষ্মকালে কোন এলাকায় খরা ও শীতকালে কোথায় শৈত্যপ্রবাহ বইবে, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন৷ ফলে সাধারণ মানুষও এই অ্যাপের মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনে পরিকল্পনা করতে পারেন৷ পরের ১৪ দিনের আবহাওয়া সম্পর্কে তাঁদের কাছে একটা চিত্র থাকবে৷''

তা ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও পূর্বাভাষ পাওয়া সম্ভব বলে জানালেন অংশুল আগরওয়াল৷ তাঁর মতে, ‘‘বায়ু দূষণ সম্পর্কেও তথ্য পেতে পারেন৷ উপকূলীয় এলাকায় আপনি পানির তাপমাত্রা ও বাতাসের গতি সম্পর্কেও জানতে পারেন৷ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে এই অ্যাপ চলে৷ হিন্দি ও ইংরিজি দুই ভাষায়ই সেটি চলে৷

আবহাওয়া পূর্বাভাষের অ্যাপগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য এগুলি জীবনযাত্রার অঙ্গ হয়ে উঠেছে৷ প্রযুক্তির কল্যাণে  আবহাওয়ার পূর্বাভাষ  জীবনযাত্রা অনেক সহজ করে তুলেছে৷ যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায়, নানা চাহিদা মেটাতে তার নাগাল পাওয়া যায়৷

ইউসুফ গানদাং পামুনচাক/এসবি