1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার ব্যর্থ ম্যার্কেল, ইইউ নেতাদের মতবিরোধ প্রকাশ্যে

১ জুলাই ২০১৯

সারারাত আলোচনা করেও ইইউ শীর্ষ নেতারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারলেন না৷ ইউরোপীয় নেতা হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলরের দুর্বলতা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠলো৷

https://p.dw.com/p/3LNfz
EU-Gipfel in Brüssel | Angela Merkel, Bundeskanzlerin
ছবি: Reuters/Y. Herman

সাধারণত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট, ইউরোপীয় কমিশন ও সদস্য দেশগুলির সরকার পরস্পরের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এমন পদক্ষেপ নেয়, যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে এবং যার অনুমোদন নিয়ে সমস্যা হবে না৷ কিন্তু এবারের ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর সহজে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাচ্ছে না৷ ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অচলাবস্থা কিছুতেই কাটছে না৷ রবিবার বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনেও ইইউ নেতারা কোনো সমাধানসূত্র স্থির করতে পারেননি৷ ফলে সারা রাত ধরে তর্কবিতর্কের পর সোমবার সকালেও কোনো সিদ্ধান্ত জানা গেল না৷

এই সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে ইউরোপের কিছু শীর্ষ নেতা জাপানের ওসাকা শহরে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে সমাধানসূত্রের একটা খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন৷ ‘সুশি চুক্তি' হিসেবে পরিচিত সেই আপোশ অনুযায়ী প্রধান রাজনৈতিক শিবিরগুলিকে সন্তুষ্ট রাখতে পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে একটা রফা স্থির হয়েছিল৷ এর আওতায় ইইউ-র ২৮টি সদস্য দেশ নেদারল্যান্ডসের সামাজিক গণতন্ত্রী নেতা ফ্রান্স টিমারমান্সকে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করবেন বলে স্থির করা হয়েছিল৷ এর বদলে রক্ষণশীল দলের প্রার্থী মানফ্রেড ভেবার ইইউ পার্লামেন্টের প্রধান হতে পারবেন৷ ইইউ সদস্য দেশগুলির পরিষদের প্রধান হিসেবে উদারপন্থি শিবিরের কোনো প্রার্থীকে বাকিরা মেনে নেওয়া হবে৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলএই বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন৷

রবিবার রাতে ম্যার্কেল রক্ষণশীল শিবিরের সামনে এই প্রস্তাব পেশ করার পর অনেক নেতাই সরাসরি সেটি প্রত্যাখ্যান করেন৷ তাঁদের যুক্তি, সমর্থন কমে গেলেও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে রক্ষণশীল শিবিরেরই জয় হয়েছে৷ তাই কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদে অন্য কোনো শিবিরের প্রার্থী মেনে নেওয়া সম্ভব নয়৷ তাঁদের এই ‘বিদ্রোহ' মূল সম্মেলনের সময় পিছিয়ে দিতে বাধ্য করে৷ প্রায় ৩ ঘণ্টা পর শীর্ষ নেতাদের নৈশভোজ শুরু হয়৷ তারপর ভোররাত পর্যন্ত দরকষাকষি চলতে থাকে৷ উল্লেখ্য, ২৮টি দেশের মধ্যে কমপক্ষে ২১ দেশের সরকার প্রধানের সমর্থন পেলে তবেই কোনো প্রার্থীর মনোনয়ন পরের ধাপে পৌঁছতে পারে৷ 

জাপানে ম্যার্কেল একটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে পেরেছিলেন৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ রাজনৈতিক শিবিরের পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়নের রীতি নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে যেতে রাজি হন৷ কিন্তু রক্ষণশীল শিবিরের বাকি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ‘রফা' করে শেষ পর্যন্ত কোনো লাভ হলো না৷ বিশেষ করে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মতো দেশ এমন প্রচেষ্টার ফলে ক্ষুব্ধ হয়েছে৷ ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে টিমারমান্স এই সব দেশের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠেছে৷ ইউরোপীয় নেতা হিসেবে ম্যার্কেলের কর্তৃত্বও কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, এই ঘটনা সেই বাস্তব আবার তুলে ধরলো৷

সোমবার সকালে শীর্ষ নেতারা ঐকমত্যের উদ্দেশ্যে আবার মিলিত হচ্ছেন৷ কমিশন, পরিষদ ও পার্লামেন্টের প্রধান ছাড়াও পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে হবে৷ আরও বিলম্ব হলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান