1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আবার রমরমা ব্যবসা হবে'

১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনের শেলা নদীতে দুর্ঘটনার কারণে ছড়িয়ে পড়া তেল নিয়ন্ত্রণে আনতে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ৷ সংস্থাটি তাতে রাজি হয়েছে৷ আপাতত স্থানীয়দের দিয়ে তেল অপসারণের কাজ করছে বন বিভাগ৷

https://p.dw.com/p/1E6KV
Ölverschmutzung nach Tankerunglück in Bangladesch
ছবি: picture-alliance/dpa

প্রথম আলো পত্রিকা জানিয়েছে শিগগিরই জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায় আসতে পারে৷ তাঁরা তেল ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতি হলো, তা মোকাবিলায় কী করা যেতে পারে, তা নির্ধারণ করবে৷ প্রাথমিকভাবে তারা পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে একটি গবেষণা করে সরকারকে এ ব্যাপারে সুপারিশ দেবে৷

এ প্রসঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারকারী সিরাজুল হোসেন লিখেছেন, ‘‘... ক্লাইমেট ব্যবসায়ীরা কয়েক বছর থেকে বেঁচে খাচ্ছে সুন্দরবন৷ টুর ব্যবসায়ী, মাছ ব্যবসায়ী সবারই সুন্দরবন থেকে লাভ বাড়ছেই৷ সরকার তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে কয়েক গুন, কিনছে সাবমেরিন৷....জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে৷ এবার দাতা আসবে, প্রজেক্ট হবে, আবার রমরমা ব্যবসা৷ ততদিন ভোদড়, মাছরাঙ্গা, মাডস্কিপাররা তেল খাও – মিটিগেশন শেখ, পারলে বিবর্তিত হও৷''

এদিকে, তেল দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সম্প্রতি সুন্দরবন ঘুরে এসেছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাংবাদিক সুলতানা রহমান৷ সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখিত ‘সুন্দরবনে দুর্যোগ এবং আমাদের সাংবাদিকতা' শীর্ষক একটি প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘‘... সুন্দরবন ঘুরে রিপোর্টার হিসেবে আমি হতাশ৷ কারণ -তিনটি কাঁকড়া, একটা ছাগল, একটা গরু, একটা মুরগি ছাড়া মৃত কোনো প্রাণী দেখিনি৷ কাঁকড়া ফার্নেস তেলের কারণে মারা যেতে পারে, কিন্তু নদীর পানিতে ভেসে আসা গরু, ছাগল, মুরগির মৃতদেহ অস্বাভাবিক বা তেলের কারণে মরেছে এমনটি বলা মুশকিল৷''

দুর্ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তেল আশপাশের পুকুরের পানিতেও মিশে গেছে৷ ফলে স্থানীয়রা বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই রান্না, খাওয়া, গোসলসহ নিত্যদিনের কাজে দূষিত পানি ব্যবহার করছেন৷

তিন-চার বছর আগে ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজ চলাচল করতো৷ সুন্দরবনে তেলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনার পর এই চ্যানেল উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু বর্তমানে হাঁটু পরিমাণ জল থাকা ঘষিয়াখালী চ্যানেলকে কি আদৌ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিনা – তা নিয়ে প্রতিবেদন করেছে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল৷

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য