1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আমরা মোটেই দুর্নীতিবাজ নই, দাবি এবার ফিফাকর্তার

৩ ডিসেম্বর ২০১০

ফিফার ওপরের সারির কর্তাব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি আর ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ নিয়ে যখন চারদিকে তোলপাড়, তখন ফিফাকর্তাদের একজনের আবেগের দাবি, ‘না, ফিফা মোটেই দুর্নীতি করে নি৷’

https://p.dw.com/p/QOoS
ফিফাছবি: APTN

নাম তাঁর আঞ্জেল ভিয়া লোনা৷ স্পেনের এই ফিফাকর্তা ২০১৮ আর ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজন সংক্রান্ত অনুষ্ঠান আর সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বৃহস্পতিবার রাতে৷ ফিফার শীর্ষ নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিয়া লোনার সঙ্গেই সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর পাশে বসে ছিলেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যাওয়া দুই দেশ স্পেন এবং পর্তুগালের দুই প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানেই ভিয়ার আবেগঘন বক্তব্য, ফিফাকে আমি প্রাণের চেয়েও ভালোবাসি৷ সেখানে আমরা সবাই সহকর্মী৷ আর আমরা দুর্নীতিবাজ নই৷

তো, ভিয়ার এই দাবি কতটা ধোপে টিকবে তা নিশ্চয়ই প্রশ্নের বিষয়৷ কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ফিফার শীর্ষ কর্তাদের ঘুষ খাওয়া এবং অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বাজার গরম হয়ে রয়েছে৷ আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ফিফার দুর্নীতির খবর প্রথম ফাঁস করেছিল ব্রিটিশ সাপ্তাহিক সানমডে টাইমস৷ সেই খবরকে ঘিরে তদন্ত কমিটি তৈরি করে তড়িঘড়ি শীর্ষ নির্বাহী কমিটির দুই সদস্য এবং চার অফিসারকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত জানায় ফিফা৷ চলতি সপ্তাহে বিবিসি-র প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ফের ফিফার দুর্নীতির নতুন অভিযোগ উঠেছে৷ সেখানে বলা হচ্ছে, ফিফার শীর্ষ নির্বাহী কমিটির তিন বর্তমান সদস্য নাকি বছর দশেক আগে কোন্ দেশে বিশ্বকাপ হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার জন্য বহু টাকা ঘুষ খেয়ে বসে আছেন৷ বলা বাহুল্য, তাই নিয়ে জলঘোলা এখনও চলন্ত৷

তার মধ্যেই স্পেনের প্রধানমন্ত্রী খোসে লুইস রডরিগেস সাপাটেরো আর পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হোসে সোক্রাতেসকে পাশে নিয়ে সুইজারল্যান্ডের সাংবাদিক সম্মেলনে ভিয়ার দুর্নীতির বাইরে থাকার দাবি এখন সংবাদ শিরোনামে৷ ভিয়া বলেছেন, ‘আপনারা মিডিয়ার কথা শুনেছেন৷ কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই ফিফার ভিতরের কথা৷ ফিফা সংবাদ৷ সেখানে শীর্ষ নির্বাহী কমিটিতে আমরা বাইশজন কাজ করি৷ সেখানে আদৌ কোন দুর্নীতির জায়গা নেই৷ ফিফা সততাকে সম্মান দেয়৷ আমরা একটা পরিবারের মত৷ সবাই ফিফাকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালেবাসি৷ '

তা হয়তো বাসেন৷ বিশ্ব ফুটবলের রাজসভার আয়োজক সংগঠন এই ফিফার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের পর অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, বিশেষ করে কোন দেশে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে তা নিয়ে, তার ফলে ফিফার ভাবমূর্তিতে কলঙ্কের আঁচড় কিন্তু ভিয়ার এই আবেগ মুছে দিতে পারেনি৷ মিডিয়াও চুপ করে বসে থাকবে না, তা ফিফাকর্তা ভিয়া যতই ফিফার প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কথা বলুন৷ মন্তব্য বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল -ফারূক