1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেতুরক্ষকের ভবনে থাকার অভিজ্ঞতা

১২ ডিসেম্বর ২০১৯

কোথাও বেড়াতে গেলে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে থাকতে চায়৷ কিন্তু অনবদ্য অভিজ্ঞতার জন্য বিকল্প ধারার কিছু হোটেলও রয়েছে৷ যেমন আমস্টারডাম শহরে সেতুরক্ষকের ভবনগুলিকে হোটেলের কামরায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3Ugcd
Stadtansicht - Amsterdam- Niederlande
ছবি: Getty Images/D. Mouhtaropoulos

আমস্টারডাম শহর মানেই সাইকেল ও নানা শৈলিতে তৈরি সেতুরক্ষকদের ছোট বাড়ি৷ সেখান থেকেই শহরের অসংখ্য ফোল্ডিং সেতু জাহাজের জন্য খুলে দেওয়া হতো৷ তারপর কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের হাতে সেই কাজের নিয়ন্ত্রণ চলে যায়৷ ফলে সেতুরক্ষকদের বাড়িগুলি খালি হয়ে পড়ে

সম্প্রতি সাধারণ মানুষ এমন কিছু বাড়িতে রাত কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন৷ অ্যাপের মাধ্যমে দরজা খোলা যায়৷ নিকল নিভিয়াডমস্কি ও অলিভার গ্রেটেন সুইটস হোটেল কোম্পানির ওয়েবসাইটে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন৷ প্রায় ১৫টি এমন বাড়ি এখন এভাবে ভাড়া নেওয়া সম্ভব৷ নিভিয়াডমস্কি দম্পতি সম্প্রতি এমন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেলেন৷ তাঁদের মতে, তিন তলায় ১২ বর্গমিটার করে জায়গাকে বেশ ভেবেচিন্তে কাজে লাগানো হয়েছে৷ জানালা দিয়ে শহরের দৃশ্যও দারুণ৷ মনে হয় সব দিক থেকে শহর দেখা যাচ্ছে৷ সত্যি, তিনটি তলা জুড়ে বিছানা, বাথরুম ও খাবারের জন্য জায়গা করা হয়েছে৷

২০০৯ সাল পর্যন্ত সেতুরক্ষীরা নব্য আমস্টেলব্রুগ সেতু খোলা ও বন্ধের কাজ করতেন৷ একশো বছরেরও বেশি সময় জুড়ে আমস্টারডামে এই পেশা চালু ছিল৷ আজ বিভিন্ন স্থাপত্যশৈলি অনুযায়ী তৈরি তাঁদের ভবনগুলি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকায় স্থান পেয়েছে৷

আমস্টারডামের অদ্ভুত হোটেল

যেমন আমস্টেলস্কুটলুস নামের ভবনটি ১৬৭৩ সালে তৈরি৷ একমাত্র নৌকায় করে সেখানে পৌঁছানো যায়৷ সেখান থেকে অবশ্য কোনো সেতু নিয়ন্ত্রণ করা হতো না৷ শুধু জাহাজ থেকে মাসুল আদায় করা হতো৷

সুসানে অক্সেনার সুইট হোটেলস কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সৃজনশীল কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা৷ তাঁর কোম্পানি ২০২১ সাল পর্যন্ত ২৮টি বাড়ি হোটেলে রূপান্তরিত করছে৷ সুসানে মনে করেন, ‘‘সঠিক যুগের রং ব্যবহার করে আমরা এই ভবনের কাহিনি বলার চেষ্টা করছি৷ চিলেকোঠার ঘর খুলে বাড়িটির স্বরূপ তুলে ধরছি৷ সপ্তদশ শতাব্দীতে এই পাত্রে বিয়ার ও ওয়াইন খাওয়া হতো৷ অতিথিরা এ সবের মাধ্যমে সে যুগের স্বাদ পেতে পারেন৷''

হর্টুসব্রুখ এলাকার বাড়িটি সেই তুলনায় আধুনিক৷ ১৯৫৬ সালে সেটি তৈরি হয়েছিল৷ স্পষ্ট কাঠামো ও রংয়ের ব্যবহার ঘরে-বাইরে বেশ স্পষ্ট৷ ভেতরে এমনকি একটি আসল রিটফেল্ট চেয়ারও রয়েছে৷

আমস্টারডাম শহরে এমন আরও অনেক হোটেল রয়েছে, যেগুলির ভবন অতীতে অন্য কোনো কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল৷ নিকল নিভিয়াডমস্কি ও অলিভার গ্রেটেন সেতুরক্ষকের বাড়িতে প্রথম রাত কাটালেন৷ নিকল বলেন, ‘‘অসাধারণ কাহিনি বটে৷ কিন্তু এত ছোট জায়গায় বেশ কায়দা করে চলাফেরা করতে হয়৷ তবে কয়েক দিন বা রাতের জন্য সত্যি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়৷''

এমন হোটেল, যেটির ঘরগুলি গোটা আমস্টারডাম শহরে ছড়িয়ে রয়েছে৷ ছোট-বড় ভবনগুলি থেকে আশেপাশের পরিবেশের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখা যায়৷

ক্রিস্টিয়ান ভাইবেসান/এসবি