1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরও বাধার মুখে ব্রেক্সিট, মরিয়া জনসন

২২ অক্টোবর ২০১৯

পর পর ব্যর্থতা সত্ত্বেও চলতি সপ্তাহে বরিস জনসনের সরকার ব্রিটিশ সংসদে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ ইইউ ব্রিটেনের পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চায়৷

https://p.dw.com/p/3RgA2
ব্রিটিশ সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার জন বার্কো
ছবি: picture-alliance/Xinhua/UK Parliament/J. Taylor

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে সংসদে তিন-তিনবার ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদনের চেষ্টা করার সুযোগ অন্তত পেয়েছিলেন৷ বরিস জনসন পর পর দুবার চেষ্টা করেও এই প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করাতে ব্যর্থ হলেন৷ সোমবার সংসদের স্পিকার জন বার্কো একই অধিবেশনে দ্বিতীয়বারের জন্য একই প্রস্তাব পেশ করার অনুমতি দেন নি৷ ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার নির্ধারিত তারিখের মাত্র ১০ দিন আগেও গোটা ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আগের মতোই অস্পষ্ট রয়ে গেল৷

এই অবস্থায় জনসন মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সংসদের নিম্ন কক্ষে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া শেষ করার মরিয়া উদ্যোগ নিচ্ছে৷ তারপর উচ্চ কক্ষের সম্মতির প্রয়োজন হবে৷ গত শনিবার সংসদে বিরোধীরা সবার আগে ব্রেক্সিট কার্যকর করার আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার উপর জোর দিয়েছিলেন৷ জনসনের সরকার ঠিক সেই কাজই করতে চলেছে৷ কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা সেই প্রক্রিয়ায় বাধা না দিলে এবং ঠিক সময়ে সব আইন অনুমোদন করা সম্ভব হলে বিরোধীরা সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করবেন, সরকার এমনটাই আশা করছে৷ বিরোধীরা অবশ্য এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে এত দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না৷

তবে একইসঙ্গে জনসনের প্রতিপক্ষরা সংসদে এমন কিছু উদ্যোগ নিতে চাইছে, যার ফলে সরকার আরও বিপাকে পড়তে পারে৷ ব্রেক্সিট প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোটসহ আরও কিছু সংশোধনী প্রস্তাব এনে বিরোধীরা সংসদীয় প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলতে পারে৷ জনসন সংসদের উদ্দেশ্যে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় আর কোনো বিলম্ব না করার আবেদন জানিয়েছেন৷

ব্রিটেনের রাজনীতির এমন উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আপাতত অপেক্ষা করার নীতি গ্রহণ করছে৷ ব্রিটিশ সংসদ ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করার আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সে কাজ করবে না৷ বরিস জনসন স্বাক্ষর ছাড়াই ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করে যে চিঠি লিখেছেন, ইইউ দেশগুলির সরকার পরিষদ সেটিকে বৈধ হিসেবে বিবেচনা করছে৷ এক মাস থেকে শুরু করে ছয় মাস বা আরও বেশি সময়ের জন্য ব্রেক্সিটের সময়সীমা পেছানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইইউ৷ ব্রিটেনের ঘটনাপ্রবাহের উপর নির্ভর করে আগামী সপ্তাহান্তে এক জরুরি ইইউ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ সেখানে উপস্থিত নেতারা প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)