1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো স্বনির্ভর হতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

৯ মার্চ ২০২২

আসন্ন ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে জ্বালানি, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আরো স্বনির্ভর হবার অঙ্গীকার করতে চায় ইউরোপীয় রাষ্ট্রজোট৷ ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মুখে বিষয়গুলি বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/48Cgt
Brüssel | Sitzung Europaparlament zur Ukraine | Charles Michel
ছবি: Jonas Roosens/BELGA MAG/AFP/Getty Images

ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে অ্যামেরিকার আচরণ, করোনা সংকট এবং বর্তমানে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা বহির্বিশ্বের উপর ইউরোপের নির্ভরতা স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে জ্বালানি, কাঁচামালের জোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বার বার সংকট দেখা দিচ্ছে৷ এমন সব ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে যতটা সম্ভব স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ৷ সপ্তাহান্তে ফ্রান্সের ভার্সাই শহরে শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় নেতারা সেই দিশায় যাত্রা শুরু করতে চান৷

ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল বর্তমানে রাশিয়া থেকে গ্যাস, পেট্রোলিয়াম ও কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা কমানোর উপর জোর দিচ্ছেন৷ সেইসঙ্গে ন্যাটোর পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন৷ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা স্থিতিশীল রাখতে ইউরোপের নিজস্ব ভীত আরও মজবুত করার লক্ষ্যও স্থির করতে চান তিনি৷ কম্পিউটার চিপের মতো অতি প্রয়োজনীয় পণ্য ইউরোপের ভূখণ্ডে উৎপাদন করার সিদ্ধান্ত সেই প্রবণতারই অঙ্গ৷

রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমানো এবং ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া আপাতত ইউরোপের কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়৷ ভ্লাদিমির পুটিনকে উচিত শিক্ষা দিতে অবিলম্বে এমন সিদ্ধান্তের জন্য চাপ বাড়লেও জার্মানির মতো ইউরোপের অনেক দেশের পক্ষে নিজস্ব স্বার্থে সেই সিদ্ধান্ত কার্যত অসম্ভব৷ কিন্তু ২০৩০ সালের আগেই রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরতা পুরোপুরি দূর করার অঙ্গীকার করছে ইইউ৷ বর্তমান সংকটের মুখে পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার আরও তরান্বিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ইইউ নেতারা৷ আপাতত অন্য উৎস থেকে জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি আমদানির জন্যও উদ্যোগ নেবেন তাঁরা৷

প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রেও আরও স্বনির্ভর হতে চায় ইইউ৷ সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে যেমন বাকি সদস্য দেশগুলিও সামরিক সহায়তা করতে বাধ্য থাকে, ইইউ-র ক্ষেত্রেও তেমন এক অনুচ্ছেদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় ইইউ৷ লিসবন চুক্তির সেই ধারা অনুযায়ী ইইউ-র কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে বাকি দেশগুলিও সেটিকে নিজেদের উপর হামলা বলে গণ্য করবে৷ তবে সে ক্ষেত্রে সামরিক সহযোগিতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে অন্যভাবে সহায়তা করলেও চলবে৷ তবে একইসঙ্গে ন্যাটো এবং ইইউ-র সদস্য দেশ হিসেবে আক্রান্ত হলে সামরিক জোটই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করবে৷ আসন্ন ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করে রাশিয়াকে সতর্ক করে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

নিজস্ব প্রতিরক্ষা কাঠামো আরও উন্নত করতেও পদক্ষেপ নিতে চায় ইইউ৷ সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জামের সঙ্গে সঙ্গে সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দেওয়া হবে৷ নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও শক্তিশালী করা ও সাইবার হামলা প্রতিহত করতে আরও মজবুত অবকাঠামো গড়ে তোলাকেও অগ্রাধিকার দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য