1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো একটি শহর বিদ্রোহীদের দখলে

৫ মার্চ ২০১১

লিবিয়া থেকে শেষ খবর: বিদ্রোহীরা বলছে তারা রাস লানুফ দখল করেছে৷ ওদিকে বিদ্রোহী পরিষদের প্রধান শপথ নিয়েছেন, হয় জিতব, নয়তো মরব৷

https://p.dw.com/p/10TqE
বেনগাজিতে যোদ্ধা রংরুটদের প্রশিক্ষণ চলেছেছবি: dapd

রাস লানুফের কাছেই রণাঙ্গণ৷ ওটা ভূমধ্যসাগরের উপকুলে একটা বড় তেলের বন্দর৷ রাজধানী ত্রিপোলি থেকে উপকুলবর্তী সড়ক ধরে প্রায় ৬৬০ কিলোমিটার পূবদিকে৷ ইতিপূর্বে শহরের কাছে বড় রকমের যুদ্ধ চলেছে৷ বিদ্রোহীরা ভারী কামান, ট্রাকে বসানো বিমান-বিধ্বংসী কামান এবং ট্যাংক-বিধ্বংসী কামান নিয়ে যুদ্ধে নেমেছে৷ গাদ্দাফির সৈন্যরা হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান দিয়ে বিদ্রোহীদের দিকে গুলি চালায়৷ বিদ্রোহীরা রাইফেল দিয়ে তার উত্তর দেয়৷

অর্থাৎ বায়ুতে আধিপত্য গাদ্দাফির অনুগামীদের৷ এবং সেইজন্যেই বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ধ্বনি দিতে শোনা গেছে, ‘‘ওবামা কোথায়? আমরা উড়াল-নিষেধ এলাকা চাই!'' - নয়তো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কিছু আহত বিদ্রোহী যোদ্ধাদের পূবের আজদাবিয়ে শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ্যাম্বুলেন্সে করে৷

Libyen / Tripolis / Hubschrauber
শুক্রবার ত্রিপোলির আকাশে গাদ্দাফি বাহিনীর হেলিকপ্টারছবি: AP

রাস লানুফ যে এখন সত্যিই বিদ্রোহীদের হাতে, তা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ কাইম অস্বীকার করেছেন৷ কিন্তু বিদ্রোহীরা রাস লানুফ বিমানবন্দর থেকে ফোন করে জানিয়েছে, শহরটা পুরোপুরি তাদের হাতে৷ বলতে কি, বিদ্রোহীরা এখন ভেবেচিন্তেই এগোচ্ছে৷ যেমন তারা নাকি পাকা সড়ক ছেড়ে মরুভূমির ভেতর দিয়ে রাস লানুফের দিকে এগিয়েছে, যা'তে গাদ্দাফির জঙ্গিজেট কিংবা সাঁজোয়া গাড়ি তাদের নাগাল না পায়৷ - রাস লানুফের পরে পশ্চিমে এগোলেই পড়ে সির্টে, গাদ্দাফির নিজের শহর৷

কিন্তু পশ্চিমে গাদ্দাফি বাহিনীই অভিযান চালাচ্ছে৷ বিশেষ করে জাউইয়া নাকি আবার অংশত গাদ্দাফি অনুগামীদের হাতে৷ শহরটা ত্রিপোলির ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে৷ সেখানে বহু গাদ্দাফি বিরোধীর হতাহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে৷ গাদ্দাফি বাহিনী নাকি গ্রেনেড ছোঁড়ার সরঞ্জাম এবং ভারী মেশিনগান ব্যবহার করছে, একটি হোটেলের ছাদ থেকে পথে রাস্তার মিছিলে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি ছুঁড়েছে৷ বিদ্রোহীরা নাকি এখনও শহরের কেন্দ্রে শহীদ চত্বরটি তাদের দখলে রাখতে পেরেছে - যদিও লিবিয়া সরকার বলেছেন, শহরটি পুরোপুরি এখন গাদ্দাফির সৈন্যদের দখলে৷

এখন প্রশ্ন হল, এ'ভাবে চলতে থাকলে সত্যিই কি লিবিয়া পূর্ব-পশ্চিমে ভাগ হয়ে যাবে? বিদ্রোহীরা স্পষ্ট বলেছে, তা তারা মেনে নেবে না৷ ত্রিপোলি জয় না করা অবধি তারা তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস