1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শি জিনপিং-এর আরও পাঁচ বছর

২৫ অক্টোবর ২০১৭

১৯তম দলীয় কংগ্রেসে নতুন সেন্ট্রাল কমিটি শি-র দ্বিতীয় কর্মকাল নিশ্চিত করে৷ পলিটবুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঁচটি নতুন মুখ রেখেছেন শি, তবে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম ভঙ্গ না করে৷

https://p.dw.com/p/2mSIV
ছবি: Getty Images/W.Zhao

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যসংখ্যা প্রায় নয় কোটি৷ দলের জাতীয় কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়৷ এক সপ্তাহব্যাপীএই সম্মেলনে কমিউনিস্ট পার্টির প্রায় ২,৩০০ প্রতিনিধি বেইজিংয়ে সম্মিলিত হন৷ পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির সদস্যসংখ্যা ২০৪৷ বুধবারের বৈঠকে নতুন সেন্ট্রাল কমিটি পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটি নির্বাচন করেছে৷ ইতিপূর্বে শি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আরো পাঁচ বছরের সনদ পান৷ তবে এই কংগ্রসের সবচেয়ে লক্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিকাশধারা সম্ভবত এই যে, মঙ্গলবারের অধিবেশনে ‘শি জিনপিংয়ের চিন্তা'কে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সংবিধানে স্থান দেওয়া হয়েছে৷

মাও সে তুং ও ডেং জিয়াওপিং-এর সঙ্গে এক কাতারে?

শি জিনপিং ও তাঁর মতাদর্শকে সরকারিভাবে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এই বিরল পদক্ষেপ সূচিত করে যে, শি মাও সে তুং থেকে চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হতে চলেছেন৷​​​​​​​

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি মঙ্গলবার ঘোষণা করে যে, শি জিনপিং ও তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শকে দেশের সংবিধানে যোগ করা হচ্ছে৷ ‘‘এক নতুন যুগের জন্য চীনা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত সমাজতন্ত্র সম্পর্কে শি জিনপিংয়ের চিন্তা'' – সরকারি বয়ানে এই হলো তার শীর্ষক৷ সেই ‘চিন্তা’ কমিউনিস্ট চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুংয়ের চিন্তাধারার পাশে স্থান নিতে চলেছে৷ ইতিপূর্বে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডেং জিয়াওপিংয়ের নাম তাঁর মৃত্যুর পর সংবিধানে যোগ করা হয়েছিল৷

২০১২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে শি যে গতিবেগ ও সংকল্পের সাথে নিজের ক্ষমতা সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন, এই বিরল পদক্ষেপ তার প্রমাণ৷

সংবিধান সংশোধনের সরকারি বয়ানে বলা হয়েছে যে, শি-র মতাদর্শ ‘‘পার্টির কর্মধারার জন্য একটি আলোকবর্তিকা’’ হিসেবে কাজ করবে৷ শি-র মতাদর্শের একটি মূল নীতি হলো অর্থনীতি থেকে সোশ্যাল মিডিয়া অবধি সমাজজীবনের প্রতিটি অঙ্গে ও প্রতিটি ক্ষেত্রে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকাকে সম্যক গুরুত্ব দেওয়া৷

‘আজীবন নেতা'

হংকংয়ের চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক উইলি লাম-এর মতে, শি-কে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে তিনি ‘‘মাও সে তুংয়ের মতো আজীবন নেতা থাকার সুযোগ পাবেন, যদি তাঁর স্বাস্থ্য ভালো থাকে৷’’

লক্ষণীয় যে, শি অপরাপর প্রেসিডেন্টের মতো তাঁর কোনো সম্ভাব্য উত্তরাধিকারীর নামকরণ করেননি৷

অপরদিকে শি জাতীয় কংগ্রেস উদ্বোধনের সময় এক ‘নতুন যুগ’-কে স্বাগত জানান, যে যুগে চীন ২০৫০ সালের মধ্যে ‘‘এক বিশ্বব্যাপি নেতৃস্থানীয় দেশে’’ পরিণত হবে, বলে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন৷

এসি/এসিবি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)