1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থকোয়েক বনাম ‘বুবকোয়েক’

২৮ এপ্রিল ২০১০

ইরানের ধর্মীয় নেতা সিদ্দিকীর ভূমিকম্প তত্বকে ভুল প্রমাণ করতে ‘বুবকোয়েক’ চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নারীরা৷ ওদিকে হুইটনি আসছেন জার্মানিতে গান গাইতে৷

https://p.dw.com/p/N8Il
বুবকোয়েক-এর হাসি?ছবি: AP

হোজাতোলেসলামকে জেনিফারের চ্যালেঞ্জ

‘মহিলারা যত বেশি খোলামেলা এবং উত্তেজক পোষাক পড়বে, বিশ্বে ততই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেবে৷' ইরানের এক ইসলাম ধর্মীয় প্রবক্তা হোজাতোলেসলাম কাজেম সিদ্দিকি কোন কুক্ষণে যে বলেছিলেন কথাটা, তা কে আর বলবে৷ হোজাতোলেসলাম এর যুক্তি, মেয়েরা শরীর দেখানো পোষাক পড়লে তরুণরা তাতে আকৃষ্ট হবে, ফলে তাদের সততা নষ্ট হবে, সমাজে পাপ ছড়িয়ে পড়বে আর সেই পাপের জন্যই ওপরওয়ালার অভিশাপ হিসেবে নেমে আসবে ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ৷ সাম্প্রতিক অতীতে চিলি, চীন, তাইওয়ান ইত্যাদি জায়গায় বড়মাপের ভূমিকম্প আর বহু প্রাণহানির পর হোজাতোলেসলাম এই তত্ব খাড়া করেছিলেন৷ কিন্তু ইরানি ধর্মীয় নেতার এই মন্তব্যের পর ব্যাপারটা নিয়ে হোজাতোলেসলামকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফেসবুকে ‘বুবকোয়েক'-এর ধারণা ছুঁড়ে দেন জেনিফার ম্যাকরেইট নামের এক মার্কিন যুবতী৷ অ্যামেরিকান এই ব্লগার এপ্রিলের ছাব্বিশ তারিখটাকে বেছে নেন ইংরেজি ‘আর্থকোয়েক' শব্দটার অনুকরণে ‘বুবকোয়েক' -এর দিন হিসেবে৷ উদ্দেশ্য খুব স্পষ্ট৷ নারী তার শরীরের বিশেষ বিভাজিকা দেখানো পোশাক পড়লে প্রকৃতি কতদূর রুষ্ট হয় তা দেখা যাক! বিশ্বজুড়ে ৫৫ হাজার মহিলা সাড়া দেয় জেনিফারের আহ্বানে৷

Valentinstag Flash-Galerie
হৃদয় ভাঙুক, হৃদয় ভাঙা ভালোছবি: AP

‘বুবকোয়েক'-এ হৃদয় ভাঙবে না তো!

ছাব্বিশ তারিখে সকাল সকাল ‘বুবকোয়েক' আন্দোলনের সূত্রপাত হিসেবে নিজের ব্লগ ব্ল্যাগহ্যাগ ডট কম-এর পাতায় নিজেরই একটি লালরঙের ব্লাউজ পরা খোলামেলা ছবি পোস্ট করে দেন জেনিফার৷ সারাদিন ধরে চলতে থাকে এই নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক৷ নারীদের চ্যালেঞ্জ, তাঁরা দেখতে চান কতরকম প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে এই পৃথিবীতে তাঁদের এই কাজের ফলে৷ এবং আক্ষরিক অর্থেই ‘বুবকোয়েক' ঘটে যায় যেন মহিলা মহলে৷ এখন দেখা যাচ্ছে, এই আর্থকোয়েক বনাম ‘বুবকোয়েক' বিতর্কের গতি আরও বাড়ছে৷ টুইটারেও হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েছে ‘বুবকোয়েক'৷ যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা, জেনেটিকস এর ছাত্রী জেনিফার যে ‘বুবকোয়েক' শুরু করেছেন, তার ফলে ধরিত্রীতে ভূমিকম্প না হোক, হৃদয়ের ভূমিকম্প যে হবে না, একথা কিন্তু খুব নিশ্চিত করে বলা মুশকিল৷ তবে, তাতে আর যাই হোক, আসল ভূমিকম্পের মত মানুষের প্রাণহানি তো ঘটবে না! অন্তত এটুকুই যা আশার আর ভরসার কথা৷

বহুদিন পর জার্মানিতে হুইটনি

লন্ডনের কনসার্টটিকে তিনি প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনের নামে উত্সর্গ করেছেন৷ সে খবর তো সকলেরই জানা৷ কিন্তু সামনের মাসেই যে হুইটনি হাউস্টন আসছেন জার্মানিতে আর একের পর এক আটটা কনসার্ট করবেন জার্মানি জুড়ে, তার প্রচার শুরু হল সবেমাত্র৷ প্রায় ১১ বছর পর হুইটনি আবার ইউরোপ ট্যুরে আসছেন, সঙ্গে আসছে শিল্পীর নতুন অ্যালবাম৷ মাঝের কয়েকটা বছর এই বিশ্বখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গী গায়িকাকে ঘিরে প্রচুর উড়ো খবর বাজারে রটেছে৷ তার মধ্যে মাদক সেবন, ববি ব্রাউনের সঙ্গে হুইটনির সম্পর্ক আর তাকে ঘিরে জটিলতা, ঘরোয়া ঝামেলা এসব বহুকিছুই ছিল৷ কিন্তু এখন আবার হুইটনি গান গাইতে আসছেন জার্মানিতে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ইউরোপ জুড়ে হুইটনির গানের ভক্তরা খুব উত্সাহিত৷ আনন্দিতও কম নয়৷ যতই যাই হোক, একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড় পরিচয় তাঁর সৃষ্টিতে৷ মানুষকে আনন্দ দেওয়াই তো শুধু নয়, মানুষের মনের গোপন ভালোবাসায় তার বসবাস৷ সুতরাং ‘ওয়েলকাম ব্যাক হুইটনি৷ তোমার জীবনের যাবতীয় দুঃখকষ্ট ভুলে তুমি আবার অপরূপ সঙ্গীত আমাদের উপহার দাও৷ আর সেই গান আমাদের আরও আরও মুগ্ধ করুক৷'

প্রতিবেদক : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : আরাফাতুল ইসলাম