1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্থিক মন্দার কবলে এবার ন্যাটো অভিযান

১১ জুন ২০১০

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের ব্যয় কমানোর হাওয়া এবার এসে লেগেছে ন্যাটোর গায়ে৷ তাইতো ভবিষ্যতে ন্যাটো কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করতে সদস্য দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন৷

https://p.dw.com/p/Nnt9
আর্থিক পরিস্থিতিতে অসহায় ন্যাটো মহাসচিব আন্ডের্স ফঘ রাসমুসেনছবি: AP

সদস্য রাষ্ট্রের অনেকেই ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমিয়েছে বলে জানা গেছে৷ আর কেউ কেউ সে পথে যাচ্ছে৷ যেমন ব্রিটেন আর জার্মানি৷ এইতো গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স প্রতিরক্ষা ব্যয় কমানোর আভাস দিয়েছেন৷ দেশটিতে বর্তমানে ঋণের পরিমাণ কত, তা নিয়ে তিনি একটি মজার পরিসংখ্যান দিয়েছেন৷ আর সেটি হলো, যিশু খ্রিষ্টের জন্মের দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন ১২ লক্ষ পাউন্ড করে যোগ করলে যে অর্থ দাঁড়াবে সেটাই হলো ব্রিটেনের ঋণের পরিমাণ৷ এদিকে জার্মানিও যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা করছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে দেশটির পত্রপত্রিকার খবর৷

ব্রিটেন, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশে ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্তে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ কারণ এতে করে আফগানিস্তান সহ অন্যান্য অঞ্চলে ন্যাটো বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমে যেতে পারে৷ তখন ঐসব অঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি টিকিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রকেই সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে হতে পারে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রেরও এখন সেরকম অবস্থা নেই৷ কারণ সেখানেও চলছে আর্থিক মন্দা৷

এদিকে ন্যাটোর জন্য অর্থ বরাদ্দ কী পরিমাণ কমেছে, তা জানা গেল সংস্থাটির মহাসচিব আন্ডের্স ফঘ রাসমুসেনের কথা থেকে৷ তিনি বলেছেন, গত বছর ২৮টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মাত্র পাঁচটি দেশ ন্যাটোর সদস্যদের জন্য যে ন্যূনতম ফি নির্ধারণ করা আছে তা পরিশোধ করেছে৷ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এ ধরণের আচরণে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি৷ ন্যাটো মহাসচিব বলেন, অবশ্যই খরচ কমানো যেতে পারে৷ কিন্তু তাই বলে এর পরিমাণ এমন হওয়া উচিত নয় যেন তাতে করে আমাদের নিজেদের নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়ে৷

অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে যে সংস্থাটির জন্ম হয়েছিল, পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হাত প্রসার করলেও এখন তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ছে৷

আগামী চার বছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ইউরো বাঁচাতে ন্যাটোর মহাসচিব কিছু প্রস্তাব করেছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে কয়েক হাজার জনবল ছাঁটাই আর বিভিন্ন স্থানে থাকা ন্যাটোর বেশ কিছু সদর দপ্তর গুটিয়ে ফেলা৷

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ন্যাটো কীভাবে চলতে পারে তা নির্ধারণ করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ এ মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রস্তাব পেশ করবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী