1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্মেনিয়ার দখল করা অঞ্চল ফিরে পেল আজারবাইজান

২০ নভেম্বর ২০২০

গত শতকের নব্বইয়ের দশকে আর্মেনিয়ার দখল করা আগদাম অঞ্চলে শুক্রবার প্রবেশ করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী৷ রুশ মধ্যস্থতায় চুক্তির পর আর্মেনিয়া যে তিনটি শহর হস্তান্তর করছে তার মধ্যে আগদাম একটি৷

https://p.dw.com/p/3lcJn
Berg-Karabach Konflikt
ছবি: Alexey Kudenko/Sputnik/dpa/picture alliance

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ‘‘আজারবাইজান সেনাবাহিনীর সদস্যরা ২০ নভেম্বর আগদাম অঞ্চলে প্রবেশ করেছে৷'' বাকি অংশগুলোও আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর হবে বলে জানানো হয়েছে৷

আগদামে আজেরি সেনাবাহিনীর ট্যাংক ঘুরছে, এমন ভিডিও ফুটেজ টুইট করেছেন দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিভাগের উপ পরিচালক ইসমাইল চাভিয়েভ৷

১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে প্রথম নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের সময় আগদাম অঞ্চলটি দখলে নিয়েছিল আর্মেনীয় বাহিনী৷ নভেম্বরের ২৫ তারিখ কালবাজার এবং ১ ডিসেম্বর হস্তান্তর হবে লাচিন জেলা৷

শুক্রবারের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগে গত কয়েকদিনে আর্মেনীয় সেনা এবং স্থানীয় আর্মেনীয় জাতিগোষ্ঠীর মানুষ আগদাম ছেড়ে গেছেন৷ তবে আজেরিদের এই অঞ্চলে বসবাসে নিরুৎসাহিত করতে শহরের বড় অংশ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে৷ এখন প্রায় পুরো শহরটিই খালি পড়ে রয়েছে৷

সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হওয়া সবশেষ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ কারাবাখের দেড় লাখ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি মানুষ নিজেদের বাসস্থান হারিয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অনুযায়ী আজারবাইজানের অংশ হলেও নাগর্নো-কারাবাখ ৩০ বছর ধরে আর্মেনীয়দের দখলেই ছিল৷

আর্মেনিয়ায় বিক্ষোভ অব্যাহত

আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ চলছে৷ পাশিনিয়ান পদত্যাগের সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও তার সরকারের তিন মন্ত্রী গত এক সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট আরমেন সারকিসিয়ান আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন৷

রাজনৈতিক অস্থিরতা এড়াতে শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডাভিট তোনোয়ান৷ তার জায়গায় দায়িত্বে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাগারশাক হারুতুনিয়ানকে৷

এডিকে/জেডএইচ (এএফপি, এপি)