1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান এর্দোয়ান

১১ ডিসেম্বর ২০২০

আজারবাইজানের জয়ে উচ্ছ্বসিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। তিনি এ বার আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান।

https://p.dw.com/p/3mYQZ
আজারবাইজানে বিজয় উৎসবে সেনার প্যারেড।ছবি: Alexey Kudenko/dpa/picture alliance

আজারবাইজানের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। বিজয় উৎসবে সেনার প্যারেড তো ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল তুরস্কের ড্রোনও, যা আর্মেনিয়াকে হারাতে সাহায্য করেছে। সেখানেই তিনি আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন। এর্দোয়ান জানিয়েছেন, নতুন সরকার কিছু শর্ত মানলে আজারবাইজানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা হতে পারে। তিনিও তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেবেন।

আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আজারি সেনাকে শক্তিশালী করতে সিরিয়া থেকে বাহিনী সরিয়ে এর্দোয়ান সেখানে পাঠিয়েছেন। ফলে আজারবাইজানের জয় সহজ হয়েছে। এই সংঘাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর ফলে নাগর্নো কারাবাখের আর্মেনীয়-বহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে আর্মেনিয়াকে। এমনকী ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে তাঁরা যে ছয়টি জেলা অধিকার করেছিল, সেগুলিও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।

Aserbaidschan | Militärparade in Baku | Recep Tayyip Erdogan
আজারবাইজানে বিজয় উৎসবে এর্দোয়ান।ছবি: Alexey Kudenko/dpa/picture alliance

এই পরিস্থিতিতে এর্দোয়ান বলেছেন, ''আমরা আশা করি আর্মেনিয়ার মানুষ তাঁদের বর্তমান নেতৃত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পাবেন। এই নেতারাই অতীতে তাঁদের মিথ্যা কথা বলে বুঝিয়েছে এবং দারিদ্রের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।'' এর্দোয়ান জানিয়েছেন, তিনি রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, জর্জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য। সেখানে সম্ভব হলে আর্মেনিয়াও থাকবে।

এর্দোয়ানের দাবি, আর্মেনিয়ার সেনা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা শহর, গ্রাম, মসজিদ ধবংস করেছে। তাই তাঁদের বিচার হওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার সেনা অবশ্য দাবি করে, তারা নয়, এ সব ধ্বংস হয়েছে আজারি সেনার আক্রমণে।

এর্দোয়ান জানান, ''আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, একটা অসাধারণ জয়ের উৎসব করতে। আজারবাইজান নিজের জমি ফিরে পেয়েছে। তবে তার মানে এই নয়, সংঘাত শেষ। যে সংঘাত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ছিল, সেটা এ বার অন্য ফ্রন্টে হবে।''

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)