1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসছে ম্যালেরিয়া ঠেকানোর ভ্যাকসিন ‘আরটিএস,এস’

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১০

মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকের ওয়াশিংটনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গবেষক আর চিকিৎসকদের এক সম্মিলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ সম্মেলনে ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/POom
কেনিয়ার একটি হাসপাতলে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুরাছবি: AP

সম্মেলনের আয়োজকদের বরাতে এক ভয়াবহ তথ্য জানা গেছে৷ তাঁরা জানিয়েছেন, আফ্রিকায় প্রতি ঘন্টায় ২০০ জন মৃত্যুবরণ করে কেবল ম্যালেরিয়ার কারণেই! আর এই ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু বরণকারীদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু৷

জানা গেছে, ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিষেধক আবিষ্কারে তাঁরা কতদূর এগিয়েছেন, মূলত তা নিয়েই ওয়াশিংটনের এই সম্মেলনে তাঁদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে৷ আলোচনা শেষে ম্যালেরিয়া ঠেকানোর এই টিকা প্রসঙ্গে এক আশার কথাই শুনিয়েছেন গবেষকরা, পাশাপাশি তাঁরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, বছর পাঁচেকের মধ্যেই এই ম্যালেরিয়ার টিকা মানব কল্যাণে কাজে আসতে যাচ্ছে৷

Infografik Weltweite Verbreitung von Malaria 2009 Englisch
পৃথিবীর এই অঞ্চলগুলোতে ম্যালেরিয়া ডানা মেলে রয়েছে

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কনসালট্যান্ট'স গ্লোবাল হেলথ্ স্ট্রাটেজি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট গোয়েন অস্টারবান জানিয়েছেন,‘‘এটা সবার জন্যই একটি আনন্দের খবর যে, আমরা সম্ভবত ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধে শেষপর্যন্ত জয়ী হতে যাচ্ছি৷'' তিনি ম্যালেরিয়ার এই নব আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘ সুড়ঙ্গের শেষে যেন আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি আমরা৷''

জানা গেছে, গ্ল্যাক্সো স্মিথসক্লাইন এবং পাথ ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে আরটিএস,এস ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন আবিষ্কারের এই যুগান্তকারী গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে৷ আর এ'গবেষণার অর্থ সহায়তা করছে ফিলানথ্রপিক বা জনকল্যাণমূলক ফাউন্ডেশন৷ উল্লেখ্য, মাইক্রোসফট'এর কোটিপতি বিল গেটস এবং তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা৷

গবেষকদের গবেষণা

গবেষকরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ক্লিনিক্যাল ফ্যালসিপ্যারম ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ১০০ জনের প্রায় ৫৩ জনের ক্ষেত্রেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পেরেছিল এই আরটিএস,এস ভ্যাকসিনটি৷

Bill und Melinda Gates in Mosambik
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে গেটস ফাউন্ডেশনছবি: picture-alliance / dpa

সংশ্লিষ্ট গবেষকদের বরাতে আরো জানা গেছে, আরটিএস,এস ভ্যাকসিনটি এখন গবেষণার তৃতীয় ধাপটিতে রয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে – ফেজ ৩ ট্রায়াল৷ যেখানে বড় পরিসরে প্রয়োগ করে ভ্যাকসিনটি কতটা নিরাপদ এবং কতখানি কার্যকরী সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়৷ আর একারণে ইতোমধ্যেই এই ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিন আফ্রিকা'র বুরকিনা ফাসো, গাবন, ঘানা, কেনিয়া, মালাউয়ি মোজাম্বিক এবং তানজানিয়া – এই সাতটি দেশে ব্যবহারের জন্য পৌঁছেছে৷ ভ্যাকসিন সেবার লক্ষ্য এই সাতটি দেশের প্রায় ১৬ হাজার শিশু, যারা ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে সহজ শিকারে পরিণত হয়৷

এদিকে ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের বরাতে জানা গেছে, গবেষণাটির তৃতীয় পরীক্ষাটিতে উৎরে গেলে পরে পৃথিবীর পয়লা প্রজন্মের ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিন হিসেবে মৃত্যু আর অসুস্থতা ঠেকাতে নিদেনপক্ষে ৫০ ভাগ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ভ্যাকসিনটি৷ আর এর কার্যকারিতা বহাল থাকবে কমপক্ষে ১ বছর৷

প্রতিবেদন : হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা : সঞ্জীব বর্মন