1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসছে শিশুদের ইচ্ছা পুরণের দিন

১৮ এপ্রিল ২০১১

ছেলেবেলায় আমাদের কত ধরণের স্বপ্নই না থাকে? কেউ পাইলট হতে চায়, কেউ বা বড় হয়ে নামকরা খেলোয়াড়৷ কিন্তু সব স্বপ্ন বা ইচ্ছাই কি শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়? কিন্তু একদিনের জন্য যদি সেটা সত্যি হয় তাহলে কেমন হয় বলুন তো?

https://p.dw.com/p/10v1I
শিশুদের জন্য ভালোবাসাছবি: AP

আসছে ২৯ এপ্রিল, ওয়ার্ল্ড উইশ ডে, মানে বিশ্ব ইচ্ছা পুরণ দিবস৷ এই দিন সবার না হোক, অন্তত বেশ কিছু শিশুর স্বপ্ন কিছুক্ষণের জন্য হলেও সত্য হয়ে ধরা দেবে৷ আর সেজন্য কাজ করছে মেক এ উইশ ফাউন্ডেশন৷

শুরুটা হয়েছিল বেশ আগে, সেই ১৯৮০ সালের কথা৷ যুক্তরাষ্ট্রে লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশু ক্রিস গ্রেসিয়াসের ইচ্ছা পুরণের মধ্য দিয়ে৷ ভয়াবহ এই রোগে আক্রান্ত শিশুটির স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হবে৷ কিন্তু মারণব্যাধি সেই স্বপ্ন পুরণে বাধা হয়ে দাঁড়ালো৷ মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা বাচ্চাটির এই সাধ পুরণের জন্য এগিয়ে এলেন কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা৷ ১৯৮০ সালের ২৯ এপ্রিল গ্রেসিয়াসের মা, তাঁর কয়েকজন বন্ধু এবং পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেসিয়াসকে উপহার দিল পুলিশের ইউনিফর্ম, হেলমেট এবং ব্যাজ৷ এবং সত্যিকার পুলিশ অফিসারের মতই হেলিকপ্টারে করে ঘুরে এলো গ্রেসিয়াস৷ ঘটনাটি এতটাই নাড়া ফেললো যে শেষ পর্যন্ত কয়েকজন মিলে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তুললো৷

Weihnachtsmann aus Schokolade
শিশুদের মনে কত স্বপ্নই না থাকেছবি: dpa Zentralbild

সেই থেকে কাজ করে যাচ্ছে মেক এ উইশ ফাউন্ডেশন৷ মৃত্যুপথযাত্রী শিশুদের অন্তত একটি সাধ পুরণ করার ব্রত নিয়ে তারা শুরু করেছে ওয়ার্ল্ড উইশ ডে৷ গত বছর প্রথমবারের মত এই ইচ্ছা পুরণ দিবস পালন করা হয়৷ বিশ্বের নানা দেশের অন্তত ২৭৫ জন শিশুর ইচ্ছা পুরণ করা হয়েছিল সেদিন৷ আসছে ২৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দিবসটিতেও বিশ্বের নানা দেশে কঠিন রোগে ভুগতে থাকা শিশুদের কাছে যাওয়া হবে, জানতে চাওয়া হবে তাদের পুরণ না হওয়া ইচ্ছাটির কথা৷ আর কিছু সময়ের জন্য হলেও শিশুটি হয়তো দেখতে পাবে তার স্বপ্ন সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার