আসানসোলে প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর, প্রেসের গাড়িকে বাধা

আসানসোলের উপনির্বাচনকে বলা হচ্ছে হাই ভোল্টেজ লড়াই। দুই বার হারার পর তৃণমূল এখানে জেতার জন্য মরিয়া। অবাঙালি ভোটদাতাদের কথা ভেবে শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অগ্নিমিত্রাও লড়াই করছেন। সকাল থেকেই ভোট ঘিরে উত্তেজনা রয়েছে আসানসোলে। পুলিশের বিরুদ্ধে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে, অনুব্রত মন্ডলের বাহিনীর বিরুদ্ধে, নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। ছবিতে পুলিশের সঙ্গে তর্ক করছেন অগ্নিমিত্রা।

বরাবনিতে অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অগ্নিমিত্রা বলেছেন, পুলিশের সামনেই তার কনভয়ের উপর আক্রমণ চালানো হয়। নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়েছে। তৃণমূল নেতা মলয় ঘটকের পাল্টা অভিযোগ, অগ্নিমিত্রা ১০-১২ জন গুন্ডা নিয়ে ঘুরছেন। আর পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেছেন তিনি।

বারাবনিতেই সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। গাড়ি আটকালেও পুলিশ কোনো নির্দেশ দেখাতে পারেনি। পরে নির্বাচন কমিশন জানায় সংবাদমাধ্যমকে অবাধে ঘুরতে দিতে হবে। ৪০ মিনিট পরে সাংবাদিকদের গাড়ি যেতে দেয়া হয়।

বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিযোগ, লাউদোহার কাছে পুলিশ তার গাড়ি আটকে দেয়। তৃণমূলকে ভোট লুঠ করতে দেয়ার জন্যই তার গাড়ি আটক করা হয়েছে বলে জিতেন্দ্রর অভিযোগ।

তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন, অগ্নিমিত্রা নিয়ম ভেঙে ২০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘুরছেন। বিজেপি ও অগ্নিমিত্রা জোর করে বিজেপি-র পক্ষে ভোটদাতাদের ভোট দেয়ার জন্য প্রভাবিত করছে।

তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাও সকাল থেকে বুথে বুথে ঘুরছেন।

সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায় ভোট দিয়েছেন নির্বিঘ্নে। ভোট দেয়ার পর তা সাংবাদিকদের দেখাচ্ছেন।

সকাল থেকে বুথগুলিতে অল্প লাইন ছিল। খুব বেশি ভিড় ছিল না।

যদিও করোনার প্রকোপ এখন খুবই কম, তাও কোনো ঝুঁকি নেয়নি নির্বাচন কমিশন। ভোট দিতে আসা মানুষদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেয়া হয়েছে।

বুথে ঢোকার আগে দেখে নেয়া হচ্ছে, জ্বর গায়ে কেউ আসেননি তো।

প্রবল গরম পড়েছে। তাই ভোটদাতারা যাতে রোদে কষ্ট না পান, তার জন্য শামিয়ানা লাগানো হয়েছে।

রোদের হাত থেকে বাঁচতে মাথা ঢেকে এসেছেন এই প্রবীণা।