1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আসামের একমাত্র বৃষ্টি-বন বিপন্ন

২২ এপ্রিল ২০১০

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের একমাত্র বৃষ্টি-বন সংরক্ষণে সরকার এক প্রকল্প হাতে নিলেও বৃষ্টি-বন সংরক্ষণে যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া দরকার সেবিষয়ে সরকারি উদ্যোগের অভাব থাকায় আসামের এই বৃষ্টি-বন আজ বিপন্ন৷

https://p.dw.com/p/N3OV
ফাইল ফটোছবি: AP

আপার আসামের জয়পুর ও তার সংলগ্ন সংরক্ষিত অঞ্চলের বৃষ্টি-বন আসাম উপত্যকার আর্দ্র সবুজ এলাকার শেষ নীচু বনভূমি, যার আয়তন ৫৭৫ বর্গকিলোমিটার৷ একে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন, সরকারের দিক থেকে সেই উদ্যোগের যথেষ্ট অভাব আছে৷ ফলে এই বৃষ্টি-বন ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে বসেছে৷ বন বিভাগের অফিসাররা এবিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও সরকারের দিক থেকে কোন প্রতিক্রিয়া নেই, বললেন ঐ এলাকার ফরেষ্ট অফিসার কুশল ডেকা৷ সরকার আসেন ৫ বছরের জন্য৷ বনমন্ত্রী যান পাল্টে৷ তাই কেউ গা করেন না৷ ফরেষ্ট বিভাগের কাজ করার অনুকূল পরিকাঠামো নেই৷ যথেষ্ট স্টাফ নেই, যানবাহন নেই, চিকিত্সা সুবিধা নেই৷ অথচ আছে দুর্নীতি৷

বৃষ্টি-বন বিপন্ন হবার আরেকটা কারণ, আশপাশের অধিবাসীদের অসহযোগিতা৷ কারণ তাঁদের বেশিরভাগ বেকার৷ রুজি রোজগারের জন্য জঙ্গলের কাঠ কেটে বিক্রি করতে হয় তাঁদের৷ জ্বালানির জন্য তাঁদের চাই কাঠ৷ তাঁদেরকে বোঝানোর চেষ্টা চলেছে, কিন্তু অভাব বড় বালাই৷

এর একটা সম্ভাব্য সমাধান হলো, এই বৃষ্টি-বনকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা৷ দেশি বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের রুজি রোজগারের পথ সুগম হবে৷

ফরেষ্ট অফিসারের মতে, এই বৃষ্টি-বন বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও জীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ৷ একমাত্র এক-শৃঙ্গ গন্ডার ছাড়া দুর্লভ প্রজাতির অসংখ্য জীবজন্তু ও পাখির আবাসভূমি এটা৷ এজন্য বড় আকারের প্রচার অভিযান শুরু করা দরকার৷ অনেকেরই এখানকার বৃষ্টি-বন সম্পর্কে ধারণা নেই৷

উল্লেখ্য, হালে পর্যটক আকর্ষণের জন্য এখানে সঙ্গীত উত্সব শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন সরকার৷ এই উত্সব শুরু হবে আগামি বছর থেকে৷ সেখানে স্থানীয় জনজাতি তাদের কুটির শিল্পসামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ পাবে৷

আসামে উগ্রপন্থিদের দৌরাত্ম পর্যটক আগমনের পথে বাধা হবে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে ফরেষ্ট অফিসার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সেদিক থেকে এই বৃষ্টি-বন এলাকা নিরাপদ৷

প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক