1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আহমাদিনেজাদের সীমান্ত সফর নিয়ে ইসরায়েলে উত্তেজনা

১৪ অক্টোবর ২০১০

ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ এই বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখবেন৷ তাঁর এই সফর নিয়ে ইসরায়েল জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি৷

https://p.dw.com/p/Pdyz
লেবানন সফরকে ঘিরে আবার বিতর্কের মুখে আহমাদিনেজাদছবি: AP

এমনিতেই চাঁছাছেলা কথা-বার্তা আর বিস্ফোরক সব মন্তব্যের জন্য সুপরিচিত মুসলিম বিশ্বের এই নেতা৷ ইসরায়েল তার একজন অন্যতম শত্রু হিসেবেই মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে বিবেচনা করে৷ জানা গেছে, তাঁর ২ দিনের এই লেবানন সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলের দক্ষিণাংশের সীমান্তবর্তী অংশটি ঘুরে দেখতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ৷ আর এ নিয়েই ইসরায়েল জুড়ে শুরু হয়েছে নানান দুশ্চিন্তা৷

ইরানের প্রেসিডেন্টের এই সফর নিয়ে শুধু ইসরায়েলেরই মাথাব্যাথা শুরু হয়নি৷ জানা গেছে, ওজর-আপত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রও পিছিয়ে নেই৷ এই দু'টি দেশই ইরানের রাষ্ট্রপতির এই বিতর্কিত সফরটিকে ‘উস্কানিমূলক' হিসেবেই মনে করছে৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলের এই সীমান্তবর্তী অংশটি ইসলামী উগ্রবাদী দল হেজবুল্লাহ'র অন্যতম ঘাঁটি হিসেবেই সুপরিচিত৷

যদিও ইসরায়েলি নেতারা আহমাদিনেজাদের এই সফর নিয়ে নানা মন্তব্য আর বক্রোক্তি করছেন কিন্তু ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ-জন কিন্তু তাঁর এই সফরটিকে একটি সুযোগ হিসেবেই দেখছেন৷ অন্তত এই সফরের কল্যাণেই হয়তোবা তারা ইসরায়েলের ‘শত্রু' হিসেবে কুখ্যাত, নাৎসিদের ইহুদি নিধনযজ্ঞ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারী এবং ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধবাদী হিসেবে পরিচিত এই মুসলিম নেতাকে একবার চোখের দেখা দেখতে পারবেন৷

Ahmadinedschad im Libanon
আহমাদিনেজাদের জন্য অপেক্ষা করে ছিল উষ্ণ অভ্যর্থনাছবি: AP

এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই সফরটি উস্কানিমূলক এবং পরিস্থিতি অস্থীতিশীল করার লক্ষ্যেই তিনি তা করছেন৷এখন এটা স্পষ্ট যে, তিনি আগুন নিয়ে খেলতে চাইছেন৷' তিনি আরো জানান, ‘তাঁর ভাব-ভঙ্গী মনে হচ্ছে, যেন কোন ভূস্বামী তাঁর সম্পত্তি দেখতে বেরিয়েছেন৷' অন্যান্যদের মতে, আহমাদিনেজাদের এ'সফরেই বোঝা যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিবেশী হিসেবে ইরান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অধিকতর ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রে রূপান্তর প্রক্রিয়াটির চুড়ান্ত পর্বে রয়েছে৷

সবমিলিয়ে মুসলিম বিশ্বের এই নেতার সাম্প্রতিক সফরটিকে ইসরায়েল সার্বিক বিবেচনাতেই নেতিবাচক এবং উস্কানিমূলক হিসেবেই দেখছে৷

বৃহস্পতিবারের এই সফরের কল্যাণে ইরানের এই ‘তীক্ষ্ণভাষী' নেতা ইসরায়েলকে সবচেয়ে কাছে থেকে দেখতে যাচ্ছেন৷জানা গেছে, ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে মাত্র দুই মাইল দূরত্বের একটি গ্রাম তিনি পরিদর্শন করবেন, ২০০৬ সালে যে গ্রামটি হেজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধে ইসরায়েলি এক বিমান হামলায় প্রায় ধূলায় মিশে গিয়েছিল৷

আহমাদিনেজাদ তার এই সফরে বিনত জবেলেও থামবেন৷ হেজবুল্লাহের এই ঘাঁটিটিও ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছিলো৷জানা গেছে, তিনি কানা'তেও যাবেন৷ কানা'ও ইসরায়েলি বিমান আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল৷

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য মাহমুদ আহমাদিনেজাদের এই আকস্মিক এবং ঐতিহাসিক সীমান্ত সফর নিয়ে মুখরোচক শিরোনাম করছে৷ একটি সংবাদপত্র লিখেছে- আহমাদিনেজাদ সবচেয়ে কাছে৷ আরেকটি পত্রিকা লিখেছে, আহমাদিনেজাদ মাত্র কিলোমিটার দূরত্বে!

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক