1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়া সোফিয়ায় থাকতে পারবে বিড়াল ‘গ্লি’

২৬ জুলাই ২০২০

ইস্তানবুলের আয়া সোফিয়া বদলে গেলেও গ্লি নামের বিড়ালটিকে বের করে দেয়া হবে না৷ সে থাকবে সেখানেই৷ ইনস্টাগ্রামে গ্লির হাজারো ফলোয়ার আছেন৷ এমনকি সাবেক এক মার্কিন প্রেসিডেন্টও তার ভক্ত৷ খবর রয়টার্সের৷

https://p.dw.com/p/3fvZD
ইস্তানবুলের আয়া সোফিয়া বদলে গেলেও গ্লি নামের বিড়ালটিকে বের করে দেয়া হবে না৷ সে থাকবে সেখানেই৷ ইনস্টাগ্রামে গ্লির হাজারো ফলোয়ার আছেন৷ এমনকি সাবেক এক মার্কিন প্রেসিডেন্টও তার ভক্ত৷ খবর রয়টার্সের৷
গ্লির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি চালাচ্ছেন তুরস্কের একজন ট্যুর গাইড উমুত বাহচেচি৷ ছবি: Reuters/HagiaSophiaCat/U. Bahceci

আয়া সোফিয়ার গ্লি নামের বিড়ালটি খুব বিখ্যাত৷ কিন্তু সম্প্রতি এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্তের পর অনেকেই ভাবছিলেন গ্লি-র ভাগ্যে কী ঘটবে৷ স্থানীয় পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হচ্ছিল৷

আয়া সোফিয়া মিউজিয়াম থাকার সময় ধুসর রঙের শরীর ও সবুজ জ্বলজ্বলে চোখের গ্লি অনেক দর্শনার্থীর প্রিয় হয়ে ওঠে৷ এমনকি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে এক সফরে গ্লির সঙ্গে ছবি তোলেন৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলছে, বিড়ালটি এখানেই থাকবে৷

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন রয়টার্সকে বলেন যে, গ্লিসহ যেসব বিড়াল এ জায়গাটিতে আছে, তারা এখানেই থাকবে৷

Türkei Istanbul Hagia Sophia Katze Gli
ছবি: Reuters/M. Sezer

‘‘এই বিড়ালটি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছে এবং আরো বিড়াল আছে যেগুলো এতটা বিখ্যাত নয়৷ এই বিড়ালটি তো থাকছেই, অন্য বিড়ালগুলোও আমাদের মসজিদে থাকতে পারবে,’’ বলেন তিনি৷

উমুত বাহচেচির কাছে এটি সুখবর হয়ে এসেছে, যিনি চার বছর ধরে গ্লির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি চালাচ্ছেন৷ চার বছর আগে তিনি এটি শুরু করেন এবং এখন এর ৪৮ হাজার ফলোয়ার৷ এই অ্যাকাউন্টটি বিড়ালটির ছবিতে ভরা৷ এমনকি দর্শনার্থীরাও তাদের তোলা ছবি ট্যাগ করেছেন৷

‘‘আমি যখনই (আয়া সোফিয়ায়) যেতাম গ্লিকে দেখতাম৷ সে মডেলের মতো পোজ দিতো,'' উমুত বলেন৷ ‘‘মানুষ আমাকে লিখতো, ‘গ্লি তোমাকে দেখতে ইস্তানবুলে আসবো৷' খুব ভালো লাগতো৷''

৯০০ বছর ধরে আয়া সোফিয়া খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন ক্যাথিড্রাল ছিল৷ এরপর অটোমানরা এ অঞ্চল দখল করে একে মসজিদে রূপান্তর করে৷ ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এটি মসজিদ ছিল৷

তুরস্কের একটি আদালত সম্প্রতি রায় দেন যে, স্থাপনাটিকে মসজিদ থেকে মিউজিয়ামে পরিণত করা আইনসিদ্ধ ছিল না৷ প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সাথে সাথেই একে মসজিদ হিসেবে ফের ঘোষণা দেন৷ শুক্রবার সেখানে ৮৬ বছর পর আবারো জুম্মার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান