1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ দীর্ঘ বিলম্ব মানলে আগাম নির্বাচন চান জনসন

২৪ অক্টোবর ২০১৯

৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ার ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডিসেম্বরেই আগাম নির্বাচন চাইছেন৷ ইইউ ব্রিটেনের আবেদন মেনে ব্রেক্সিটে বিলম্ব মেনে নেবার ইঙ্গিত দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3Rp79
ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটছে না
ছবি: AFP/T. Akmen

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বাধ্য হয়ে ব্রেক্সিটের সময়সীমা বাড়ানোর যে আবেদন করেছেন, সেটি বিবেচনা করতে আরো সময় নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ সেই আবেদন যাতে নাকচ হয়ে যায়, জনসন নিজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন৷ দীর্ঘমেয়াদী বিলম্বের পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি কোনো জরুরি কারণ উল্লেখ করেননি৷ ফলে ব্রিটেনে প্রক্রিয়াগত জটিলতার খাতিরে ইইউ বড়জোর মাত্র কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নেবে, এমনটাই আশা করছেন তিনি৷ সে ক্ষেত্রে সংসদের উপর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত সব প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷

অন্যদিকে জনসনের আশঙ্কা, তিন মাস অথবা আরও লম্বা বিলম্ব ঘটলে বিরোধীরা দ্বিতীয় গণভোট বা আগাম নির্বাচন তরান্বিত করতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ঘটনাপ্রবাহের রাশ তাঁর হাতছাড়া হয়ে যাবে৷ এমন পরিস্থিতিতে জনসন নিজেই আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন৷ ইইউ ব্রেক্সিটের সময়সীমা ৩ মাস পিছিয়ে দিলে খ্রিস্টমাসের আগেই নির্বাচন চান তিনি৷ তাঁর টোরি দলের মধ্যে এমন উদ্যোগ নিয়ে মতভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ সংসদে এই প্রস্তাব অনুমোদন করাতে হলে বিরোধী লেবার পার্টির সমর্থনেরও প্রয়োজন হবে৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের আশঙ্কা সম্পূর্ণ দূর হলেই বিরোধী দল আগাম নির্বাচনের পথ সুগম করে দেবে বলে জানিয়েছে৷

ইইউ সদস্য দেশের সরকারগুলির পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় ব্রিটেনের আবেদনের ভিত্তিতে ব্রেক্সিটে বিলম্ব মেনে নেবার পরামর্শ দিয়েছেন৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টেও এই অবস্থানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে৷ ইইউ কর্মকর্তাদের মতে, শীর্ষ নেতারা সম্ভবত তিন মাসের বিলম্ব মেনে নেবেন৷ তবে ব্রিটেন তার আগেই ব্রেক্সিট চুক্তি সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে পারলে ইইউ ত্যাগ করতে পারবে৷

অন্যদিকে ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ বড়জোর কয়েক সপ্তাহের বিলম্ব মেনে নিতে প্রস্তুত৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস-ও কিছুদিনের বিলম্বের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ শুক্রবার ২৭টি ইইউ দেশের রাষ্ট্রদূতরা এই প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন৷ তার আগে ঐকমত্য অর্জনের চেষ্টা চলছে৷ কূটনৈতিক পর্যায়ে সেটা সম্ভব না হলে ইইউ শীর্ষ নেতাদের জরুরি সম্মেলন ডাকা হতে পারে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)