ইউন সান এর চোদ্দো শৃঙ্গ জয় নিয়ে বিতর্ক
২৮ এপ্রিল ২০১০হিমালয়ের অন্নপূর্ণার চূড়ায় উঠে ৪৪ বছর বয়সী ইউন সান প্রথমেই তাঁর দেশের পতাকাটি উড়িয়ে দেন৷ এরপর আনন্দে চিত্কার করে ওঠেন ‘হুররে'৷ কোরিয়ার এক টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচারও করে সবটা৷ বলে বসবেন না যেন, অত ওপর থেকে সরাসরি সম্প্রচার হলো কিভাবে? উত্তর সোজা, ইউন সান এর এক সহ-পর্বতারোহীর সঙ্গে ছিল ক্যামেরা৷ সেটা দিয়েই হয়েছে রেকর্ড৷
কিন্তু ইউন সান এর এই জয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই খানিকটা কালিমালেপনের চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে৷ যে তিনজন নারী ৮ হাজার মিটারের বেশি উচ্চতার ১৪টি শৃঙ্গজয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, তাদেরই একজন দাবি করেছেন, গত বছর সম্ভবত কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেননি ইউন সান৷ ফলে চোদ্দো শৃঙ্গ জয় প্রথমেই তাঁর হল কী ভাবে?
সন্দেহ প্রকাশ করা এই পর্বতারোহিণীর নাম এডুরনে পাসাবান৷ এই প্রতিযোগিতায় ইউন সানের ঠিক পেছনেই ছিলেন তিনি৷ এখনও পর্যন্ত জয় করেছেন ৮০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতার ১৩টি শৃঙ্গ৷
৩৬ বছর বয়সী স্পেনের এই নারীর দাবি, কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের পর ওহ্ যে ছবি দেখিয়েছেন তার সঙ্গে তাঁর নিজের ছবির কোন মিল নেই৷ আর এই দাবি একেবারে ফেলনা নয়, কারণ ওহ্-র ঠিক পরেই কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করেন পাসাবান৷ একজনের ছবি ছিল ফাঁকা মাঠে, আর অন্যজনের বরফের মধ্যে৷ ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে৷
ইতিমধ্যে হিমালয় পর্বতারোহরণ সম্পর্কিত কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইউন সান এর সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা৷
অবশ্য আলোচনা যাই থাক, এই মুহূর্তে বিজয়ী ওহ্ ইউন সান৷ আজ বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রকাশিত যাবতীয় পত্রপত্রিকার শিরোনামেই ইউন সানের হাসিমুখের সূর্যোদয়৷ এখন যাকে বলে জাতীয় নায়িকা তিনি৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়