1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে

৫ এপ্রিল ২০১০

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে৷ গতবছর রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ ভাগ৷ ইইউ মিশন প্রধান স্টিফেন ফ্রয়েন বলেছেন, বাংলাদশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে৷ কমিয়ে ফেলছে বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরতা৷

https://p.dw.com/p/Mnev
একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির নারী শ্রমিকছবি: AP

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে৷ মোট রপ্তানি আয়ের ৬০ ভাগ আসে ওইসব দেশ থেকে৷ আর এই রপ্তানি ক্রমেই বাড়ছে৷ গতবছর রপ্তানি বেড়েছে ৬.৩ ভাগ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক৷ এর পরিমাণ মোট রপ্তানি পণ্যের ৯০ ভাগ৷ তারপর হিমায়িত খাদ্য, চামড়া, পাট ও চায়ের অবস্থান৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন প্রধান স্টিফেন ফ্রয়েন সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বাড়ানো বাংলাদেশের একটি অর্জন৷ তিনি বলেন, যেসব ফ্যাক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা পালন করে তারমধ্যে প্রধান হল তৈরি পোষাক৷ এরপর জনশক্তি রপ্তানি৷

স্টিফেন ফ্রয়েন বলেন, বর্তমান অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজেকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করছে৷ বাংলাদেশেও ইউরোপীয় দেশের যন্ত্রপাতি ও রাসায়নিকের বড় বাজার রয়েছে৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বাংলাদেশ বছরে বৈদেশিক সহায়তা নেয় ২ বিলিয়ন ইউরো৷ বিপরীতে বাণিজ্য এবং জনশক্তি রপ্তানি থেকে আয় করে ২০ বিলিয়ন ইউরো৷ এতেই এর অর্থনৈতিক শক্তি বোঝা যায়৷

স্টিফেন ফ্রয়েন বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা ইউরোপে বাংলাদেশের বাণিজ্য কমাতে পারেনি৷ রপ্তানিকারকদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং কাজের পরিবেশই এর অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক