1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো’কে বাঁচাতে আপদকালীন উদ্যোগ

৮ মে ২০১০

ইউরোপীয় অভিন্ন মুদ্রা ইউরো’র অভূতপূর্ব সঙ্কটের মোকাবিলা করতে চলতি সপ্তাহান্তে ইউরো এলাকার শীর্ষ নেতারা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে সমাধানসূত্র খুঁজছেন৷

https://p.dw.com/p/NJPj
ইউরোপের সামনে আজ বিশাল চ্যালেঞ্জছবি: AP

বিষয়টি আর গ্রিসের আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ গোটা ইউরোপ সামগ্রিকভাবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক অস্তিত্বের সঙ্কটের মুখ পড়েছে৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব তাই এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, যে পরাজয় কোন বিকল্প হতে পারে না৷ শনিবার ভোররাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি বলেন, এই মুহূর্তে ইউরোপের চালিকা শক্তি হিসেবে ফ্রান্স ও জার্মানির সম্মিলিত ও দৃঢ় উদ্যোগের প্রয়োজন৷

প্রথমে গ্রিসের আর্থিক সঙ্কট, তারপর দীর্ঘ টালবাহানার পর ইউরোপীয় স্তরে গ্রিসের জন্য সাহায্যের কর্মসূচি ঘোষণা, তারপর শেয়ার বাজারে ধস এবং সর্বোপরি ইউরো'র পড়ে চলা বিনিময়মূল্য – সম্প্রতি একের পর এক বিপর্যয় ঘটে চলেছে৷ সোমবার শেয়ার বাজার খোলার আগেই ইউরোপের নেতারা আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারের কাছে দেরিতে হলেও একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাতে চান – আর তা হলো, কোনো সদস্য দেশ দুর্বল হয়ে পড়লেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সঙ্ঘবদ্ধভাবে তাকে রক্ষা করবে৷ উল্লেখ্য, গ্রিসের পর বাজারে স্পেন ও পর্তুগালের আর্থিক দুর্বলতার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়তে থাকে৷ ইউরোগ্রুপের প্রধান ও লুক্সেমবুর্গের প্রধানমন্ত্রী জঁ-ক্লোদ ইয়ুঙ্কার এই প্রবণতাকে ইউরোর বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সুপরিকল্পিত হামলা হিসেবে বর্ণনা করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের মনে হচ্ছে, গোটা ইউরো এলাকাই হামলার মুখে পড়েছে৷ রবিবার রাতের মধ্যে আমাদের এই সব অনৈতিক হামলার জবাব দিতে হবে৷ গোটা ইউরো এলাকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সমবেতভাবে এই কাজ করতে হবে৷''

Griechenland / Finanzkrise / Papakonstantinou / Juncker
গ্রিক অর্থমন্ত্রী জিয়র্জিয়স পাপাকনস্তানতিনু (বামে) ও ইউরোগ্রুপ’এর প্রধান ইয়ুঙ্কার (ডানে)ছবি: AP

ইউরো এলাকার কোনো দেশকে সাহায্য করার পথ ইউরোর জন্মলগ্নেই কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল – উদ্দেশ্য ছিল, সহায়তার আশ্বাসকে সম্বল করে সদস্য দেশগুলি যাতে বল্গাহীন আর্থিক নীতি গ্রহণ করতে না পারে৷ চলতি সপ্তাহান্তে গোটা বিষয়টিকে নতুন করে ভেবে দেখতে হচ্ছে৷ ইউরো চুক্তির ১২২ ধারাকে সম্বল করে একটি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে৷ ঐ ধারা অনুযায়ী কোনো সদস্য দেশ হুমকির মুখে পড়লে সহায়তা করা যেতে পারে৷ আপদকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থার কথা শোনা যাচ্ছে৷ ইউরো এলাকার স্থিতিশীলতার স্বার্থে সব প্রতিষ্ঠান যাতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, সেই পথ খুলে যাওয়ার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় বাজেট ঘাটতি ও আর্থিক বাজারের নিয়ম আরও কড়া করতে চান ইউরোপীয় নেতারা৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: জাহিদুল হক