1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যার্কেল জনপ্রিয়তার তুঙ্গে

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

এক সমীক্ষা অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের পদ থাকলে বিদায়ী জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেল সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হতেন৷ ইউরোপে সংকট সামলানোর ক্ষেত্রে তার প্রতি গভীর আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে৷

https://p.dw.com/p/40L1L
Albanien Bundeskanzlerin Merkel bei ihrem Abschiedsbesuch in Tirana
ছবি: Ani Ruci/DW

রাষ্ট্রজোট হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্ষমতার রাশ কমিশন, পার্লামেন্ট ও সরকার পরিষদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া রয়েছে৷ নির্বাহী ক্ষমতার জন্য প্রেসিডেন্টের কোনো পদ নেই৷ এমন পদ থাকলে ইউরোপের মানুষ জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রতি বিপুল সমর্থন জানাতেন৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জনমত সমীক্ষায় এমন এক চিত্র উঠে এসেছে৷ পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক ইউরোপীয় পরিষদ বা ইসিএফআর নামে ব্রাসেলস-ভিত্তিক থিংক ট্যাংক পরিচালিত এই সমীক্ষা অনুযায়ী ১২টি ইইউ দেশের প্রায় ৪১ শতাংশ মানুষ ম্যার্কেলকে এমন এক পদে দেখতে চান৷ বিশেষ করে নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও পর্তুগালে তার জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো৷ নেদারল্যান্ডসের ৫৮ শতাংশ মানুষ ম্যার্কেলের প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন৷

অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ মাত্র ১৪ শতাংশ সমর্থন পেয়ে ১২টি ইইউ দেশেই ম্যার্কেলের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন৷ এমনকি ফ্রান্সেও ম্যার্কেল কাল্পনিক ইইউ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেশি গ্রহণযোগ্য৷ সমীক্ষার আওতায় অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, সুইডেনসহ ১২টি দেশের মোট ১৬ হাজার ২৬৭ মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ 

সমীক্ষার পরিচালকদের মতে, আঙ্গেলা ম্যার্কেল শক্তিশালী ও স্থিতিশীল জার্মানির প্রতীক৷ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি একাধিক সংকটের সময়ে ইউরোপের নোঙর হিসেবে নিজের অবস্থান জোরালো করে এসেছেন৷ তাছা়ড়া তিনি জার্মানিকে মোটেই বাকিদের উপর খবরদারির পথে চালিত করেন নি৷ ফলে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে বিদায় নেবার পরে ম্যার্কেলকে ইউরোপের ক্ষমতাকেন্দ্রে দেখার বাসনা মোটেই বিস্ময়কর নয়৷ এমনকি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর সরকারি ব্যয়সংকোচের মতো অপ্রিয় নীতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি৷ ২০১৫ সালের শরণার্থী সংকটের সময়ে তার উদার নীতিও সেই মনোভাবে চিড় ধরাতে পারে নি৷ তিনি না থাকলে বরং আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সংকট দেখা দিতে পারতো বলে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগ মনে করে৷

ম্যার্কেল তথা জার্মানির অবস্থান সম্পর্কে ইউরোপে সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধাবোধ সত্ত্বেও খোদ জার্মানিতে কিন্তু যথেষ্ট সংশয় বিরাজ করছে৷ সমীক্ষা অনুযায়ী সে দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, যে জার্মানির সুবর্ণ যুগ শেষ হয়ে গেছে৷ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশার আলো তারা দেখছেন না৷ ইউরোপের বাকি অংশে সে বিষয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য