1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুসলিম নারীদের চাকরি পাওয়া কি কঠিন হবে?

১৫ মার্চ ২০১৭

মঙ্গলবার এক রায়ে ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস’ বলেছে, কোম্পানিগুলো কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে তাদের কর্মীদের হেডস্কার্ফসহ দৃশ্যমান সব ধর্মীয় প্রতীক পরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে৷ এই রায়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷

https://p.dw.com/p/2ZCVS
Symbolbild - Kopftuch am Arbeitsplatz
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

বেলজিয়ামের এক মুসলিম নারীর মামলার প্রেক্ষিতে এই রায় দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ আদালত ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস’ (ইসিজে)৷ সামিরা এ. নামের ঐ নারী বেলজিয়ামের একটি নিরাপত্তা কোম্পানিতে চাকরি করতেন৷ ২০০৬ সালে তিনি হেডস্কার্ফ পরে চাকরিস্থলে যেতে চাইলে কোম্পানির পক্ষ থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল, বিষয়টি (হেডস্কার্ফ পরে অফিসে আসা) কোম্পানির নীতিমালারবিরোধী৷ ঐ নীতিমালায় অফিসে কর্মীদের ‘রাজনৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় প্রতীক’ সম্বলিত পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞার কথা বলা আছে৷

কিছুদিন পর বেলজিয়ামের ঐ কোম্পানি সামিরা এ.-কে চাকরিচ্যুত করলে তিনি ইসিজেতে মামলা করেন৷ রায়ে আদালত বলেছে, চাকরিদাতারা চাইলে কর্মস্থলে ‘রাজনৈতিক, দার্শনিক ও ধর্মীয় প্রতীক’ প্রদর্শনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এবং এটি ‘প্রত্যক্ষ বৈষম্যমূলক’ হবে না৷

পক্ষে-বিপক্ষে

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউরোপীয় আদালতের রায়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, এর ফলে চাকরিদাতারা ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নারী এবং পুরুষদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার আরো সুযোগ পাবে৷

বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও জার্মানির প্রোট্যাস্ট্যান্ট চার্চ কর্তৃপক্ষও এই রায়ের সমালোচনা করেছে৷ তবে ইউরোপীয় সংসদে জার্মানির কনজারভেটিভ সাংসদ মানফ্রেড ভেবার ইইউ আদালতের রায় সমর্থন করে বলেছেন, ‘‘চাকরিদাতাদের কিছু পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে হেডস্কার্ফ পরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা থাকার বিষয়টি ঠিক৷’’

জার্মানির ‘ফেডারাল অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি’র ব্যার্নহার্ড ফ্রাংক বলেন, ইসিজে’র রায়ের কারণে জার্মান কোম্পানিগুলো এখন সহজে ‘ধর্মীয় বা ভাবাদর্শিক প্রতীক’ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে৷ এখন পর্যন্ত জার্মানিতে নারীরা নীতিগতভাবে কর্মস্থলে হেডস্কার্ফ পরতে পারেন৷

ফ্রাংক মনে করছেন, আদালতের রায়ের কারণে ভবিষ্যতে মুসলিম ও শিখ নারীরা সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন, কারণ, খ্রিষ্টানরা চাইলে তাঁদের ক্রস পোশাকের নীচে ঢুকিয়ে রাখতে পারেন৷ কিন্তু হিজাব বা শিখদের পাগড়ি লুকিয়ে রাখা কঠিন৷

এদিকে, ‘ফেডারাল অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি’-র প্রধান ক্রিস্টিনে ল্যুডার্স মনে করছেন, এই রায়ের কারণে ভবিষ্যতে হেডস্কার্ফ পরা নারীদের চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে৷

নিনা নিব্যার্গাল/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান