1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ ও অ্যামেরিকার মিউনিখ সংঘাত

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইরান, মধ্যপ্রাচ্য, চীন ইত্যাদি বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউরোপের মধ্যে আরো সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এমন বার্তা নিয়ে আসছেন৷

https://p.dw.com/p/3XhMH
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক এস্পার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Graulich

বাৎসরিক মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে গোটা বিশ্বের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতির প্রতিফলন দেখা যায়৷ নেতাদের ভাষণের পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই নেপথ্যে এমন সব সংলাপের পথ খুলে যায়, যা সহজে সম্ভব হয় না৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই মঞ্চের গুরুত্ব যেন আরও বেড়ে গেছে৷ চলতি বছর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পারের উপস্থিতি সেই ধারা বজায় রাখবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

ট্রাম্পের কার্যকালে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে ব্যবধান বেড়েই চলেছে৷ বার বার দুই পক্ষের স্বার্থের সংঘাত দেখা যাচ্ছে৷ ট্রাম্প তাঁর নিজস্ব আন্তর্জাতিক অ্যাজেন্ডা কার্যকর করতে গিয়ে ইউরোপের সমর্থন পাচ্ছে না৷ অন্যদিকে ইউরোপের স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে আর আগের মতো অ্যামেরিকার সমর্থন দেখা যাচ্ছে না৷ আপাতত ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত৷ ইরানের উপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানোর তোড়জোড় করছে ওয়াশিংটন৷ ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি আনতে বিতর্কিত এক পরিকল্পনা পেশ করেছেন ট্রাম্প৷ ফাইভ-জি যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রসারে চীনের হুওয়ায়েই কোম্পানির প্রভাব যতটা সম্ভব কম রাখার জন্য ইউরোপের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে অ্যামেরিকা৷

শুক্রবার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হচ্ছে৷ সেখানে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিও উপস্থিত থাকবেন৷ শুক্রবারই পম্পেও ও এস্পার তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন৷ সাত দিন ধরে হিংসা কমানোর বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে৷ সেই প্রচেষ্টা সফল হলে ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে আরও মার্কিন সৈন্য দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর৷ নির্বাচনের বছরে এমন পদক্ষেপ তাঁর জন্য সুবিধাজনক হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ এতকাল তিনি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খুব বেশি মার্কিন সৈন্য দেশে ফেরাতে পারেন নি৷

ট্রাম্প প্রশাসন এককভাবে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার করে সন্তুষ্ট নয়৷ জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনকেও সেই চুক্তি বর্জনের জন্য চাপ দিয়ে চলেছে ওয়াশিংটন৷ ইরান চুক্তির শর্ত মানছে না, এমন অজুহাতে সে দেশের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আবার চাপাতে চান ট্রাম্প৷ অথচ ইউরোপ সে পথে এগোতে নারাজ৷ বরং ইরানের সঙ্গে বিরোধ মেটাতে জাতিসংঘের দ্বারস্থ হওয়ায় ওয়াশিংটন আরও বিরক্ত হয়েছে৷ পম্পেও ইউরোপের নেতাদের উপর আরও চাপ বাড়াতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এই মর্মে ইঙ্গিত দিয়েছে৷ ইরান পরমাণু চুক্তিকে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকার সঙ্গে বাকি স্বাক্ষরকারী দেশগুলির বিরোধ চরমে উঠলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনারও বিরোধিতা করছে ইউরোপ৷ মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বেলজিয়াম, এস্টোনিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি এই উদ্যোগের খোলামেলা সমালোচনা করেছে৷

এসবি/কেএম (এপি, রয়টার্স)