1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ বোরখার বিপক্ষে, অ্যামেরিকা পক্ষে

১২ জুলাই ২০১০

বোরখা নিষিদ্ধ করা উচিত, নাকি উচিত নয়- এই নিয়ে চলছে আলোচনা৷ তাইতো বিষয়টি নিয়ে এবার জরিপ করলো ওয়াশিংটনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার৷

https://p.dw.com/p/OGiZ
মুখবন্ধ বোরখার বিপক্ষে ইউরোপছবি: AP

জরিপটি চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চারটি দেশের জনগণের উপর৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ইউরোপের অধিবাসীরা বোরখা নিষিদ্ধের পক্ষে৷ আর অধিকাংশ মার্কিন নাগরিক এর বিপক্ষে৷ যেমন ফ্রান্সের প্রতি ১০ জনের আটজনেরও বেশি লোক বোরখা নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ এছাড়া জার্মানির ৭১ শতাংশ, ব্রিটেনের ৬২ আর স্পেনের ৫৯ শতাংশ লোকও বোরখা নিষিদ্ধ করার কথা বলেছেন৷ তবে ইউরোপের ব্যতিক্রম যুক্তরাষ্ট্র৷ সেখানকার দুই-তৃতীয়াংশ লোক বোরখা নিষিদ্ধের পক্ষে নন৷

এ বছরের এপ্রিল ও মে মাসে জরিপটি করা হয়েছে৷

এদিকে এই বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের সংসদের নিম্নকক্ষে বোরখা নিষিদ্ধ নিয়ে একটি বিলের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে৷ আর জরিপের ফল থেকেতো বোঝাই যাচ্ছে যে, হয়তো বিলটি পাশও হয়ে যেতে পারে৷ তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে৷ কারণ তখন ফ্রান্সের সেনেটে বিলটি তোলা হবে৷

সেখানেও যদি বিলটি পাশ হয়ে যায় তাহলে পাবলিক প্লেসে আর বোরখা পড়তে পারবেন না ফ্রান্সে বসবাসকারী মুসলিম নারীরা৷ অর্থাৎ স্কুল, বাজার, হাসপাতাল কিংবা সরকারি অফিস কোথাও বোরখা পরা যাবেনা৷ তবে এরপরও কেউ যদি বোরখা পরা অবস্থায় ধরা পড়েন তাহলে তাকে জরিমানা দিতে হতে পারে ১৫০ ইউরো৷ উল্লেখ্য, বোরখা পরা মানে এখানে পুরো মুখমন্ডল জুড়ে বোরখা পরার কথা বলা হচ্ছে৷ আর কোনো পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রীকে বোরখা পরতে বাধ্য করেন তাহলে তাঁকে ত্রিশ হাজার ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে বলে জানা গেছে৷ এছাড়া এক বছরের কারাদন্ডও দেয়া হতে পারে৷

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসেবে প্রায় ১,৯০০ জন নারী পুরো মুখ ঢেকে বোরখা পরে থাকেন৷ ফ্রান্সের মতো এমন আইন চালু হওয়ার কথা বেলজিয়াম ও স্পেনেও৷ তবে ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস ফ্রান্সে৷ তাইতো সেখানে এই ধরণের আইন পাশ একটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক