1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরা এলাকায় দুশ্চিন্তা

১ অক্টোবর ২০১৪

মূল্যস্ফীতির পড়তি হার, অস্বাভাবিক মাত্রায় বেকারত্বের মতো সমস্যা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবার আসরে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছে৷

https://p.dw.com/p/1DNkw
Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
ছবি: Daniel Roland/AFP/Getty Images

সোমবার প্রকাশিত নতুন কিছু তথ্য-পরিসংখ্যান ইউরো এলাকার অর্থনৈতিক সমস্যার চিত্র আরও স্পষ্ট করে তুলেছে৷ আগস্ট মাসে ইউরো এলাকার বেকারত্বের হার ১১.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছে৷ সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ০.৩ শতাংশ, যা গত ৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম৷ ইউরোপের চালিকা শক্তি বলে পরিচিত জার্মানির মূল্যস্ফীতির হার কমতে কমতে ০.৮ শতাংশে ঠেকেছে৷ জার্মানির অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে৷

এই অবস্থায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিফ্লেশনের মোকাবিলা করতে সুদের হার আরও কমানো সহ আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ফল দেখা যাচ্ছে না৷ বৃহস্পতিবার ইসিবি প্রধান মারিও দ্রাগি লিকুইডিটি কর্মসূচি সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন৷ এর উদ্দেশ্য, ব্যাংকগুলিকে আরও ঋণ দিতে উৎসাহ দেয়া৷ অনুমান করা হচ্ছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো ইসিবিও ‘কোয়ানটিটেটিভ ইজিং'-এর পথ গ্রহণ করবে – অর্থাৎ বন্ড কেনার ক্ষেত্রে কোনো ঊর্দ্ধসীমা থাকবে না৷ তবে ইসিবি-র এই সব পদক্ষেপ ও কর্মসূচি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে কিছু মহল সন্দেহ প্রকাশ করছে৷ চলতি সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইউরোপের পুঁজিবাজার৷

Symbolbild EZB Europäische Zentralbank Frankfurt am Main
আগস্ট মাসে ইউরো এলাকার বেকারত্বের হার ১১.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রয়েছেছবি: Daniel Roland/AFP/Getty Images

এমন প্রেক্ষাপটে সপ্তাহের শুরুতেই ইউরোপের পুঁজিবাজারে কিছুটা দরপতন ঘটেছে৷ ইউরো এলাকা তথা জার্মানি থেকে পাওয়া সাম্প্রতিক তথ্য অর্থনীতির দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে৷ সেইসঙ্গে হংকং-এ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গোটা বিশ্বেই বাজার বেশ উদ্বিগ্ন৷ ইউক্রেন ও ইরাকের সংকটের পর চীনও যদি সমস্যার মুখে পড়ে, সে ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনীতি নতুন করে ধাক্কা খাবে বলে সবার আশঙ্কা৷ এদিকে মার্কিন ডলারের সঙ্গে ইউরো-র বিনিময় মূল্য গত দু'বছরে সবচেয়ে কমে গেছে৷

সংকটগ্রস্ত দেশগুলি অবশ্য কিছুটা অগ্রগতি দেখাতে পারছে৷ যেমন গ্রিসের আশা, সে দেশ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বেলআউট কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে৷ আন্তর্জাতিক দাতারা সে দেশের সংস্কার ও বাজেট সংক্রান্ত অগ্রগতি খতিয়ে দেখছে৷ তবে স্পেনের ক্যাটালোনিয়া প্রদেশ স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটের দাবিতে অটল থাকায় সে দেশের অর্থনীতি আবার কিছুটা ধাক্কা খাচ্ছে৷ ফ্রান্সের ঋণভার ২ লক্ষ কোটি ইউরোর রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে৷ ফলে সে দেশ ইইউ-র বেঁধে দেয়া বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত নিয়ম মানতে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়৷

এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য