ইউরোপের অর্থনীতি
২৮ আগস্ট ২০১৩প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও ব্যার্লুস্কোনির দল পদে পদে জোট সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে৷ সাংসদ হিসেবে ব্যার্লুস্কোনির সদস্যপদ বাতিল করার উদ্যোগ চলছে৷ ফলে সরকারের স্থায়িত্ব আপাতত সংকটের মুখে৷ তবে এই সংকট সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী এনরিকো লেটা-র সরকার সোমবারও সরকারি ব্যয় সংকোচের লক্ষ্যে আরও একঝাঁক পদক্ষেপ নিয়েছে৷ ইউরো এলাকার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ইটালি আবার প্রবৃদ্ধির পথে না ফেরা পর্যন্ত ইউরোপে দুশ্চিন্তা থেকেই যাবে৷ ইটালির রাজনৈতিক সংকটের কারণে ইউরোপের পুঁজিবাজার কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে৷ ফলে চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে বাজারে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷
এদিকে ইউরো এলাকার ভোক্তাদের আস্থার সূচক বেড়ে চলেছে৷ ফলে মন্দা কাটিয়ে এই অঞ্চল ঘুরে দাঁড়াতে চলেছে – এমন আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ জার্মানির ইতিবাচক প্রবণতাও অব্যাহত রয়েছে৷ এই নিয়ে পর পর ৪ মাস ধরে ব্যবসায়ীদের আস্থার সূচক বেড়ে চলেছে৷ অর্থাৎ কোম্পানিগুলি জার্মানির পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ সন্তুষ্ট৷ আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অবশ্য ইউরো এলাকার সংকটের বিষয়টি বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ইটালির মতো জার্মানিতে অবশ্য ধারাবাহিকতা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তার আশঙ্কা নেই৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জনমত সমীক্ষায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন৷ শুধু গ্রিস-কে বাড়তি আর্থিক সাহায্য দিতে হবে, এমন সম্ভাবনার কথা বলে কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে ম্যার্কেল-এর সরকার৷ উল্লেখ্য, গ্রিসের অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তৃতীয় দফার বেলআউট-এর প্রয়োজন পড়লে তার অঙ্ক হতে পারে এক হাজার কোটি ইউরো৷ ২০১৪ সালে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে৷
ইউরো এলাকার সংকট সামলাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ইসিবি এতকাল বেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে এসেছে, যার ফলে পুঁজিবাজারে আস্থা বেড়েছে৷ কিন্তু চিরকাল এমনটা চলতে পারে না – এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান৷ অর্থাৎ বছরের পর বছর ধরে সুদের হার এত কম থাকতে পারে না৷ ইসিবি প্রধান মারিও দ্রাগি অবশ্য জুলাই মাসে বাজারকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, যে সুদের হার আপাতত অপরিবর্তিত থাকবে৷
এসবি / জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)