1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেটকে আরো সামাজিক করতে চায় ফেসবুক

২২ এপ্রিল ২০১০

সকালে ফেসবুক খুলেই খানিকটা অবাক হতে হলো৷ ডয়চে ভেলের পাতায় গিয়ে বাঁদিকে দেখি বার্তা ‘২৬ বন্ধু এটা পছন্দ করেছে’৷ ভয়ই পেলাম৷ ২৬ বন্ধু মানে! বাকিরা কই! কিন্তু না, বাকি সবাই ছিল নিচের আরেকটি বক্সে৷

https://p.dw.com/p/N2oO
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/ dpa

পছন্দের এই তালিকা ফেসবুকের ‘নতুন' সেবা৷ আরেকটু ঘাঁটতে গিয়ে জানলাম, ফেসবুক নাকি ইন্টারনেট জগতকে আরো সামাজিক করতে চায়৷ সান ফ্রান্সিসকোর এফএইট সম্মেলনে ফেসবুক জানিয়েছে তাদের নতুন এই সেবার কথা৷ এর আওতায় আপনার ফেসবুক বন্ধুদের পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে আরো সহজে জানা যাবে৷ ধরুন, ইন্টারনেটে কোন একটি গানের সাইটে গেলেন আপনি৷ সেখানে যদি আপনার কোন ফেসবুক বন্ধু আগে গিয়ে থাকে কিংবা গানের সাইটটি পছন্দ করে থাকে, তবে অনায়াসেই সেটা দেখতে পাবেন আপনি৷

একইভাবে অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রেও বন্ধুদের মূল্যায়ন আপনাআপনি চোখে পড়বে আপনার৷ এভাবে ফেসবুক ছাড়া অন্য সাইটে ছড়িয়ে পড়বে সামাজিকতার ছোঁয়া, অন্তত ফেসবুক বলছে তেমনটা৷ তবে এরসঙ্গে আরো কয়েকটি কিন্তু আছে৷ প্রথমত, যে ওয়েবসাইটগুলো আপনার বন্ধুদের পছন্দ দেখাবে, সেগুলোকে ফেসবুকের অংশীদার হতে হবে৷ আর দ্বিতীয়ত, এধরণের পছন্দ অপছন্দের বিষয়গুলো জানতে আপনাকে অবশ্যই ফেসবুকে লগইন থাকতে হবে৷

ইতিমধ্যেই সিএনএন, ইএসপিএন আর ল্যাভির মতো বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে শুরু করেছে ফেসবুকের এই বিশেষ সেবা৷ আর তাই, এসব সাইট দেখতে গিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়বেননা যেন৷ কারণ সেখানেও খুঁজে পেতে পারেন, অমুক বন্ধু অমুক দিন ফেসবুকে অমুক লিঙ্কটি শেয়ার করেছিল৷

প্রসঙ্গত, ফেসবুকের প্রতিদ্বন্দ্বী এখন গুগল৷ যদিও সামাজিক নেটওয়ার্কিং-এ গুগলের অবস্থান খুব একটা পোক্ত নয়, তারপরও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে গুগল শীর্ষেই ছিল গত কয়েক বছর৷ ইদানীং বদলাতে শুরু করেছে এই অবস্থা৷ মাঝে মাঝেই জনপ্রিয়তার ব়্যাংকিং-এ গুগলকে হারাচ্ছে ফেসবুক৷ তার উপর নতুন এই সেবা ফেসবুককে এগিয়ে নিতে পারে আরো খানিকটা৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারুক