1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় ইংরেজি গান প্রচারে বিধিনিষেধ

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য পশ্চিম জাভায় অনেকগুলো ইংরেজি গানের কথাকে ‘অশ্লীল' ও ‘নেতিবাচক' হিসেবে আখ্যায়িত করে সেগুলো প্রচারের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3EFtd
Navicula Rockband aus Bali
ছবি: Maria Bakkalapulo

এসব গান টেলিভিশন ও রেডিওতে প্রচারের সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে৷ পশ্চিম জাভা প্রচার কমিশন ‘শুধু প্রাপ্তবয়স্কের জন্য' ৮৫টি ইংরেজি গান চিহ্নিত করেছে৷ এসব গান রাত ১০টা থেকে ভোর তিনটা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে৷

গানগুলোর মধ্যে এড শিরানের ‘শেপ অফ ইউ', ব্রুনো মার্সের ‘দ্যাট'স হোয়াট আই লাইক' ও আরিয়ানা গ্রান্ডে'র ‘লাভ মি হার্ডার' রয়েছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে অসাম্প্রদায়িক দেশ হলেও সম্প্রতি তারা অনেক কন্টেন্ট ও আচরণকে পর্নোগ্রাফিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং স্থানীয়শরিয়া আইন অনুযায়ী তাতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে৷

‘‘অশ্লীলতা, যৌনতা... ও মাদক- এ বিষয়গুলো দেখানো হচ্ছে এমন গান ও ভিডিওগুলো প্রচারে নিষেধাজ্ঞা আছে,'' প্রচার কমিশনের সদস্য নেনেঙ আতিয়াতুল ফাইজিয়াহ মঙ্গলবার এ কথা বলেন৷

তিনি বলেন যে, জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ এমন আরো হাজারো গান নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷

ফাইজিয়াহ আরো বলেন যে, শুধু ইংরেজি নয়, ইন্দোনেশিয়ার ‘অ্যাডাল্ট' গানগুলো নিয়েও একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে৷

পশ্চিম জাভায় ৪ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বাস৷ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে রক্ষণশীল রাজ্যগুলোর একটি এটি৷ জাতীয় পর্যায়েও পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে কড়া আইন আছে দেশটির৷ সমালোচকরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সৃজনশীল কাজের ওপর এই আইনের ভুল প্রয়োগের আশঙ্কা করছেন৷

গত মাসেও দেশটির সংসদ সংগীত বিষয়ক একটি বিল পাস করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু শিল্পী ও অধিকার কর্মীদের প্রতিবাদের কারণে পারেনি৷ স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঐ বিলটিতে বলা হয়েছিল যে, এমন কোনো গান তৈরি করা যাবে না যেখানে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব রয়েছে, কিংবা এসব গানের কারণে মানুষ সহিংস হয়ে ওঠেন এবং আইন ভঙ্গ করেন৷ প্রতিবাদকারীদের বক্তব্য ছিল, এই আইন তাদের বাক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ৷

জেডএ/জেডএইচ (রয়টার্স)