1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করলেন ওবামা

১৯ মার্চ ২০১০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আগামী সপ্তাহে তাঁর নির্ধারিত ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করেছেন৷

https://p.dw.com/p/MWTo
বারাক ওবামাছবি: AP

যুক্তরাষ্ট্রের বহুল আলোচিত স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিলের উপর রবিবার অনুষ্ঠিতব্য ভোটের কারণেই ওবামা সফর বাতিল করেছেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস্৷

তবে আগামী জুনে এই সফর অনুষ্ঠিত হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি৷ গিবস্ বলেন, সফর বাতিলের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ওবামা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কেভিন রুডকে টেলিফোন করলে তাঁরা দুজনেই নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন৷

সাম্প্রতিক সময়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির কারণে এশিয়া প্রশান্ত-মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নই ছিল ওবামার সফরের মূল লক্ষ্য৷ তবে সফরসূচি তৈরি হবার পর থেকেই ওবামা নিজ দলের নেতাদের কাছ থেকে সমালোচনার শিকার হন৷ কারণ স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিলটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য কংগ্রেস নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে৷ তাই এমন একটি বিষয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় ওবামার দেশের বাইরে থাকার পরিকল্পনাটা পছন্দ করছিলেন না অনেক ডেমোক্রেটই৷

Robert Gibbs Pressesprecher im Weissen Haus in Washington
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র রবার্ট গিবস্ছবি: AP

এদিকে, রক্ষণশীল ঘরানার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশ্লেষকরা ওবামার সফর বাতিলের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক হবে৷ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওয়াল্টার লোহম্যান বলেছেন, এই সিদ্ধান্তের কারণে এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ক্ষুন্ন হবে৷

তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র গিবস্ মনে করেন সফর বাতিলের কারণে বহির্বিশ্বের কাছে ওবামার অঙ্গীকারের কোনো নেতিবাচক বার্তা পৌঁছাবেনা৷ তিনি বলেন, ওবামা এখনো বিশ্বাস করেন যে, এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার বিলের উপর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওবামা গত বছর নভেম্বরে প্রথম এশিয়া সফর করেছিলেন৷ সে সময় তিনি নিজেকে অ্যামেরিকার প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রেসিডেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছিলেন৷ এর ফলে ঐ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের একটা উন্নতি হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন৷ এবারকার সফর ঐ সম্পর্ককেই আরও এগিয়ে নিয়ে যেত বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এছাড়া এবার সফরের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেয়ার কারণ ছিল মধ্যম ক্ষমতার দেশ দুটি ক্রমশই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে৷ এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও দেশদুটি সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উন্নতি করায় সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি বৃদ্ধিরও একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ওবামা আগামী পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি দ্বিগুন করার অঙ্গীকার করেছেন৷

প্রতিবেদক: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার