1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইবোলা রুখতে মোবাইল ল্যাবোরেটরি

মাবেল গুন্ডলাখ/এসি২০ জানুয়ারি ২০১৫

আফ্রিকার গিনি কিংবা জার্মানির মারবুর্গ৷ এক জার্মান ভাইরোলজিস্ট দু'টি জায়গাতেই মারাত্মক ইবোলা ভাইরাস নিয়ে কাজ করেছেন এবং করছেন৷ দু'টি দেশে কাজের পরিবেশ স্বভাবতই আলাদা, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর ভয় করে না৷

https://p.dw.com/p/1EN3y
Symbolbild - Ebola Forschung
ছবি: picture-alliance/dpa

টোমাস স্ট্রেকার নমুনাগুলো জমা নিলেন৷ এমন সব রোগীর স্যাম্পল, যারা সম্ভবত ইবোলা রোগে আক্রান্ত৷ ভাইরোলজিস্ট টোমাস মাঝে মাঝে জার্মানি থেকে এখানে আসেন, অকুস্থলে ইবোলা মহামারির বিরুদ্ধে সংগ্রামে সাহায্য করতে৷ এখানে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা সহজ কিন্তু কার্যকরি৷ টোমাস-এর আসল কাজের জায়গা সাত হাজার কিলোমিটার দূরে, জার্মানির মারবুর্গ শহরে৷ টোমাস বলেন:

‘‘মারবুর্গের উচ্চ নিরাপত্তার ল্যাবোরেটরির সঙ্গে গিনি-তে আমাদের এই পরিষেবার তুলনা করলে মনে হবে, কাজের পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা৷ কিন্তু আমি দু'টি জায়গাতেই খুবই নিরাপদ বোধ করি৷''

যারা নমুনা আনে, তাদের মতো টোমাস স্ট্রেকার-কে সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে আসতে হয় না৷ ল্যাবোরেটরি-তে বিপজ্জনক ভাইরাসগুলোকে শনাক্ত করে, তা নিয়ে গবেষণা করা হয়৷

তাঁর বিশেষ সুরক্ষা ওভারঅল কোনো ধরনের জীবাণু কি ভাইরাস ভিতরে ঢুকতে দেয় না৷ অপরদিকে উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় শুধুমাত্র কয়েকজন বাছাই করা এবং ভালোরকম প্রশিক্ষণ পাওয়া বিজ্ঞানী ঢুকতে পারেন৷ ক্যামেরা টিম-কেও ঢুকতে দেওয়া হয় না৷

Ebola Sierra Leone Oktober 2014
সিয়োরা লিওনে’তেও ইবোলার প্রকোপ কমছেছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Duff

নির্দেশিকা

ইবোলার মতো বিপজ্জনক ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কঠিন কাজ৷ ওদিকে সুরক্ষা ওভারঅল পরে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি কাটানো সম্ভব নয়৷ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সত্ত্বেও ল্যাবোরেটরি কিংবা ওয়ার্ডে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেনে যে রকম ঘটেছে৷ সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা ইবোলা-য় আক্রান্ত হয়েছেন৷ টোমাস বলেন:

‘‘আমরা এখনও জানি না, অ্যামেরিকা এবং স্পেনে নার্সরা কীভাবে সংক্রমিত হলেন৷ তবে তা থেকে বোঝা গেছে, সুরক্ষা ওভারঅল পরিধান করা, সেটাকে ঠিকভাবে পরা এবং ডিকন্ট্যামিনেট ও ডিসইনফেক্ট করাটা কতটা জরুরি৷''

ডাক্তার এবং নার্সরা যাতে সুরক্ষা ওভারঅল পরার সময় প্রতিটি খুঁটিনাটির কথা ভাবেন, সে জন্য মারবুর্গের বিজ্ঞানীরা একটি স্টেপ-বাই-স্টেপ নির্দেশিকা উদ্ভাবন করেছেন – জার্মানির হাসপাতালগুলোতে এই নির্দেশিকার বিপুল চাহিদা রয়েছে৷ গিনি-র আইসোলেশন কেন্দ্রে কিন্তু ডাক্তার ও পরিচারকদের নিজেদেরই সাবধানে থাকতে হবে৷

ইবোলার দ্রুত পরীক্ষা

মোবাইল ল্যাবোরেটরিতে রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করাটা অপেক্ষাকৃত সহজ কাজ৷ গ্লাভ-বক্স ব্যবহার করে স্বল্প পরিসরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাওয়া যায়৷ কিন্তু ভ্রাম্যমাণ ল্যাবোরেটরিতে একটি নমুনা পরীক্ষা করে দেখতেই চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়৷ তবে সেটাও দ্রুততর করার চেষ্টা চলেছে৷ মারবুর্গের বিজ্ঞানীরা একটি দ্রুত পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দশ মিনিটের মধ্যে বলে দিতে পারবে, রোগীর ইবোলা হয়েছে কিনা৷ টোমাস জানালেন:

‘‘গ্রামাঞ্চলের হাসপাতালগুলোর নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এই টেস্ট ব্যবহার করতে পারবেন৷ ডাক্তাররা এই টেস্ট সঙ্গে করে গ্রামে গ্রামে গিয়ে অকুস্থলে রোগ পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন – যাতে কোনো ম্যালেরিয়া রোগীকে ইবোলা সন্দেহে আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যেতে না হয়৷''

অর্থাৎ ইবোলা রোগীদের নিয়ে কাজ করার সময় আর একটু বেশি নিরাপত্তা পাওয়া গেল৷ কিন্তু টোমাস-এর মতে, আপাতত সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো আন্তর্জাতিক সাহায্য – এবং সেই সাহায্য যাতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে পৌঁছায়, সেটা নিশ্চিত করা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য