1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকের নির্বাচনে এগিয়ে আলাউয়ির জোট

২৭ মার্চ ২০১০

আসনসংখ্যার বিচারে এগিয়ে থাকলেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আলাউয়ির জোটকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বাকি দুই জোট একত্র হয়ে যেতে পারে৷

https://p.dw.com/p/MfYp
সবচেয়ে বেশী আসন পেয়েও আলাউয়ির পক্ষে সরকার গঠন করা কঠিন হবেছবি: AP

ইরাকের সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, প্রত্যাশিতভাবে কোন রাজনৈতিক দল বা জোটই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে নি৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইয়াদ আলাউয়ির নেতৃত্বাধীন ‘ইরাকিয়া' জোট নির্বাচনে ৯১ টি আসন পেয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে৷ ধর্মীয় ও আঞ্চলিক সংকীর্ণতার উর্দ্ধে উঠে ইরাকের জাতীয় স্বার্থকেই প্রাধান্য দেয় এই জোট৷ অন্যদিকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৮৯ টি আসন৷ এর আগে প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি ভোট পুনর্গণনার জন্য দাবি জানালেও তা নাকচ করে দেয় নির্বাচন কমিশন৷ তৃতীয় শক্তি হিসেবে শিয়াপন্থী জোট ৭০ টি আসন এবং কুর্দিপন্থী জোট ৪২ টি আসনে বিজয়ী হয়েছে৷ ভোট গণনার কাজ ১০০ শতাংশ শেষ হয়ে গেলেও আদালতের অনুমোদন পেলেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে৷

Muktada al-Sadr
‘কিংমেকার’ হতে পারেন শিয়াপন্থী জোটের অন্যতম কট্টরপন্থী নেতা মুকতাদা আল সাদরছবি: AP

সংসদে দুই প্রধান জোটের আসনসংখ্যার এত অল্প ব্যবধানের ফলে সরকার গঠনের কাজ বেশ কঠিন হবে – এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই৷ ফলাফল জানার পর আলাউয়ি টেলিভিশনে বলেন, তিনি সব গোষ্ঠীর প্রতি হাত ও হৃদয় বাড়িয়ে দিচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা ইরাক গড়ার কাজে অংশ নিতে চায়, আমরা সবাই মিলে রাজনৈতিক বিভাজন ও রাজনৈতিক আঞ্চলিকতা ভুলে সেই কাজে হাত দেবো৷''

৭ই মার্চের ভোটগ্রহণের প্রায় ৩ সপ্তাহ পর এই প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হলো৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মালিকি'র জোট রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণে শিয়া-প্রধান প্রদেশগুলিতে জয়লাভ করেছে৷ উত্তর ও পশ্চিমের সুন্নি-প্রধান এলাকার সমর্থন পেয়েছে আলাউয়ির ধর্মনিরপেক্ষ জোট৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিয়া হওয়া সত্ত্বেও আলাউয়ি বাকি সম্প্রদায়গুলির যথেষ্ট আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন৷ তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি ও ইরানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ শিয়াপন্থী জোট মালিকির জোটের সঙ্গে সংযোজনের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে৷ দুই পক্ষের মধ্যে রফা হলে সংসদে বৃহত্তম শক্তি হিসেবে এই জোটই সরকার গড়ার পথে এগিয়ে যাবে৷ শিয়াপন্থী জোটের অন্যতম প্রধান নেতা ও ঘোরতর মার্কিন-বিরোধী মোকতাদা আল-সাদর এই মুহূর্তে ইরানে রয়েছেন৷

Kombo Ayad Allawi und Nuri al-Maliki
আলাউয়ি ও মালিকি হাত মেলাল স্থিতিশীল সরকার গড়া সম্ভব হতে পারেছবি: AP/dpa/Fotomontage:DW

ইরাকের আগামী সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শুধু সংখ্যার হিসেবই গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ মালিকি ও শিয়াপন্থী জোট যদি পরস্পরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলাউয়িকে উপেক্ষা করে এককভাবেই সরকার গঠনের চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সুন্নিদের ক্ষোভ বেড়ে যেতে বাধ্য৷ এই ভারসাম্যে ফাটল ধরলে নতুন সরকারের পক্ষে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে৷ এমন এক পরিস্থিতিতে সরকার গঠন করতে কয়েক সপ্তাহ – এমনকি কয়েক মাসও লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

শেষ পর্যন্ত যে জোটই সরকার গঠন করুক না কেন, এবারের সংসদ নির্বাচনের সার্বিক সাফল্যের ফলে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম